হাত ঘোরা স্বামী, তা-ও কী মধু |
প্রজাপতি বসছে আজ বিদ্যা বালনের বাড়িতে। মুম্বইতে। দু’বার বিবাহিত সিদ্ধার্থ রায় কপূর
তাঁর হবু স্বামী। আরও এক সিঙ্গল নায়িকা আরও এক হাত ঘোরা পুরুষ! লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
আজ বিদ্যা বালনের বিয়ে। অন্তত মিডিয়া আর ইন্ডাস্ট্রি মহলে খবর তাই।
কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে যে রানি মুখোপাধ্যায়ও বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন অচিরেই।
করিনা, শিল্পা, কিরণ রাও ইতিমধ্যেই সুখী বিবাহিত জীবনে রয়েছেন। যে কটা নাম লিখলাম সবার মধ্যে একটাই কমন ফ্যাক্টর। এঁরা সকলেই বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করেছেন। প্রশ্ন একটাই, এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে যাঁরা নিজেদের জন্য রীতিমতো স্বয়ম্বর সভা বসাতে পারতেন তাঁরা হঠাৎ করে নিজেদের জন্য ব্যাচেলার না খুঁজে, পরের পর ডিভোর্সিকে বাছলেন কেন? এমনকী খোদ মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রায়ই আলোচনা হয়ে থাকে একটা উত্তেজক বিষয়। কী সেই এক্স ফ্যাক্টর যার জন্য ভারতীয় অভিনেত্রীরা বিবাহিত পুরুষদের দিকে অমোঘ আকর্ষণে ছুটে যান? যে ভাবে পতঙ্গ ছুটে যায় বহ্নির দিকে।
ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট সীমা হিঙ্গোরানি মনে করেন, বেশির ভাগ সেলিব্রিটির বিবাহিত পুরুষদের দিকে ঝোঁকার অন্যতম কারণ, গভীর আর্থিক নিরাপত্তা। যে নিরাপত্তাবোধের অভাব তাঁরা প্রায়ই ভোগ করে থাকেন। সীমা বলেন, “আমার সেলিব্রিটি ক্লায়েন্টদের জিজ্ঞাসা করাতে তাঁরা বলেন যে এ রকম বিয়েতে অনেক বেশি সিকিওরিটি আছে। একবার বিবাহিত পুরুষ মানে সে অনেক সাবধানী। আগের বিয়ের ভুলগুলো সে সাধারণত শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করে।” অর্থাৎ ন্যাড়া যেহেতু একবার বেলতলায় গেছে, দ্বিতীয়বার অনেক ভেবেচিন্তে তবেই সে পা ফেলে। ব্যক্তিত্বের এই সাবধানী দিকটা নাকি পোড় খাওয়া অভিনেত্রীদের কাছেও আকর্ষণীয়।
আর সমাজের অনুশাসন? সীমার কাছে তারও উত্তর আছে। বলছিলেন, “এই সব তারকা যে নভোমণ্ডলে বিচরণ করেন সেখানে সমাজের নিরাপত্তা পরিণত মনস্কতা সম্পর্কের ওঠাপড়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
পুরনো ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা।
আবেগের মধ্যে সংযমসিমা হিঙ্গোরানি (সেলিব্রিটিদের মনস্তত্ববিদ) করেন, সেখানে অনুশাসনের ভিসা প্রায় নেই বললেই চলে। একবার প্রেমে পড়লে সমাজের কটাক্ষ নিয়ে তাঁদের খুব একটা মাথাব্যথা হয় না। তাঁদের অনেক ক্ষেত্রেই ধারণা থাকে যে ওঁরা কিছু করলেও লোকে কথা বলবে, না করলেও বলবে। তাই অত আমল দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। পার্টনারের সঙ্গে কমফর্ট লেবেলটা থাকলে বাদবাকি ভাঁড় মে জায়ে।” উদাহরণ দিলেন সইফিনার। “কেমন সুন্দর করিনার বিয়েতে স্যাফের আগের পক্ষের ছেলেমেয়েরাও এসেছিল। করিনাকে দেখেও বোঝা যায় স্যাফকে নিয়ে ও ভীষণ ‘কমফর্টেবল’।”
|
পরিচয় |
টেক ওয়ান |
টেক টু |
টেক থ্রি |
টেক চার |
টেক ফাইভ |
পুরুষের বয়স |
৩৮ |
৪২ |
৩৭ |
৪৭ |
৪১ |
নারীর বয়স |
৩৪ |
৩২ |
৩৭ |
৩৯ |
৩৪ |
পুরুষের বিয়ে |
তৃতীয় |
দ্বিতীয় |
একবার বিবাহবিচ্ছিন্ন |
একবার বিবাহবিচ্ছিন্ন |
ডিভোর্স ফাইল করেছেন ২০০৯ সালে |
নারীর বিয়ে |
প্রথম |
প্রথম |
প্রথম |
প্রথম |
এখনও অবিবাহিতা |
পুরুষটির নাম |
সিদ্ধার্থ রায় কপূর |
স্যাফ আলি খান |
ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা |
অভিনেতা আমির খান |
প্রযোজক আদিত্য চোপড়া |
নারীটি |
নায়িকা বিদ্যা বালন |
নায়িকা করিনা কপূর |
নায়িকা শিল্পা শেঠি |
পরিচালক কিরণ রাও |
নায়িকা রানি মুখোপাধ্যায় |
|
কিন্তু বিদ্যা কী দেখে মজলেন দুবার ডিভোর্স হয়ে যাওয়া পুরুষে? তিনি যে জীবনে পুরুষের সান্নিধ্যে আসেননি এমন তো নয়। শাহিদ কপূরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর চর্চাও হয়েছে। যদিও তিনি কখনও স্বীকার করেননি।
বিদ্যার ঘনিষ্ঠরা বলেন যে সিদ্ধার্থ পুরুষ হিসেবে খুব সংযত। এই যে বিদ্যার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়ে কোনও দিন প্রকাশ্যে আলোচনা করেননি। ব্যক্তিগত জীবনের কথা কখনও খুলে আম বলেন না। তা ছাড়া সিদ্ধার্থ একজন খুব কৃতী পেশাদার। ইউ টিভির সি ই ও। বিনোদনের জগতে থেকেও বিদ্যার সঙ্গে প্রতিযোগিতা নেই। কারণ দু’জনে দু ধরনের কাজ করেন। বিদ্যার কোনও সমস্যায় প্রাপ্তবয়স্ক পরামর্শ দিতে পারবেন। অথচ ‘অভিমান’ ফিল্মের মতো কোনও ব্যক্তিত্বের সংঘাতের আশঙ্কা নেই।
আশ্চর্যজনক ভাবে অতি সফল অভিনেত্রীদের মধ্যেও কোথাও একটা ‘আদম’ লুকিয়ে থাকে। লুকিয়ে থাকে গোপনে জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাওয়ার ঝোঁক। মনোবিদ- মিডিয়া- ইন্ডাস্ট্রির লোক সবাই একটা ব্যাপারে একমত: পরপুরুষ ছিনিয়ে নেওয়ার মধ্যে মেয়েরা এক ধরনের আত্মতৃপ্তি পান। আর পান একটা বন্য প্যাশন। তাই বলিউডে বিদ্যা বালনের বিয়ে বৃত্তান্ত কোনও ট্রেন্ড তৈরি করছে না। এটাই বলিউডের সাবেকি ঐতিহ্য। পঁচিশ বছর আগে সোনি রাজদানের সঙ্গে বিয়ে হয় মহেশ ভট্টর। তাঁর মতে, বিবাহিত পুরুষদের বিয়ে করাটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বরাবরের ঐতিহ্য। এই প্রেমের উদ্দামতাও সাঙ্ঘাতিক। ধর্মেন্দ্র যখন প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জনক, তখনও হেমা মালিনির তাঁর প্রতি অদম্য প্রেম বাঁধা প্রাপ্ত হয়নি। স্ত্রী প্রকাশের বাড়ি থাকলেও হেমা নিজের বাড়িতে প্রায়ই এনে রাখতেন ধর্মেন্দ্রকে। যেমন ময়রা স্ট্রিটে সুপ্রিয়ার বাড়িতে এসে থাকতেন উত্তমকুমার। শ্রীদেবীর গল্পের মাদকতা আরও তুঙ্গে। তিনি লুকিয়ে বিয়ে করেন দুই সন্তানের পিতা বনি কপূরকে। আরও পুরোনো সময়ে ফিরলে রয়েছেন বৈজয়ন্তীমালা। বিয়ে করেন বিবাহিত ডা: চমনলাল বালিকে। ডাঃ বালির প্রথম পক্ষের তিনটি সন্তান থাকা সত্ত্বেও ওই প্রেম বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিল। তা ছাড়াও আছে শাবানা আজমী আর জাভেদ আখতারের কাব্যিক প্রেম। সারিকাও পেয়েছিলেন অবৈধ প্রেমের স্বাদ তাঁর প্রণয়ী কামাল হসনের কাছে। বিয়ে না টিকলেও প্রেমটা ছিল সরস। সতিন নিয়ে সানন্দে ঘর করছেন হেলেন তাঁর স্বামী সেলিম খানের সঙ্গে। ও দিকে নাদিরা বব্বর স্ত্রী হিসেবে বহাল তবিয়তে থাকা সত্ত্বেও স্মিতা পাটিলের রাজ বব্বরের সঙ্গে সংসার পাততে অসুবিধা হয়নি।
|
শিল্পা শেঠি ও রাজ কুন্দ্রা |
|
লারা দত্ত ও মহেশ ভূপ তি |
করিনা কপূর ও
স্যাফ আলি খান |
|
কিরণ রাও ও আমির খান
|
|
|
|
হাতের কাছে অবিবাহিত পুরুষ থাকা সত্ত্বেও এঁরা সব সময় টল ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসামদের যে বেছেছেন তা নয়। তার কারণ সব সময় প্রেমিকের চেহারা নয়, জীবনের অভিজ্ঞতাটাই আসল। কোনও কোনও মনস্তত্ত্ববিদ বলেন এই ধরনের সম্পর্কের মধ্যে যৌনতার জায়গাটাও খুব পরিপূর্ণতা পায়। অন্য দিকে বিবাহিত পুরুষদের বিয়ে করার মধ্যে এক ধরনের ঝুঁকিও থাকে। যেটা অনেকেই পছন্দ করেন। অ্যাডম্যান প্রহ্লাদ কক্কর বলছেন, “ব্যাচেলার পুরুষেরা সাধারণত অকৃতজ্ঞ হন। কিন্তু ডিভোর্সি পুরুষেরা সেলিব্রিটি নায়িকাদের বিয়ে করে ধন্য হয়ে যান। যেহেতু তাঁরা একবার ঘা খেয়েছেন তাই সেলিব্রিটি কোনও নারী তাঁদের বিয়ে করলে আক্ষরিক অর্থে তাঁরা চাঁদ হাতে পান। এবং বউকে পারলে আকাশের চাঁদ এনে দেন।”
বিদ্যার মতো বুদ্ধিমতী মেয়ে এই সব ভেবেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। মহেশ ভট্ট বলেন, “এই পর্যায়ে মোটামুটি সব নারী পুরুষেরই ঘটনাবহুল অতীত থাকে। কাচের ঘরে থেকে তাই কেউ ঢিল ছুড়তে চায় না। আমার অনুমান, স্মিতা পরে হলেও বুঝেছিল, যে আদর্শ বিয়ের সংজ্ঞাটা সমাজ তৈরি করে থাকে তার বেশিটাই মিথ্যা।”
অভিনেত্রী পূজা বেদীর মতে, একজন ডিভোর্সিকে বিয়ে করাতে কোনও লজ্জা নেই। সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রেও নয়। পূজা বলছেন, “আমার বাবা কবীর বেদী তিনবার বিয়ে করেছেন। বাবা ডিভোর্স নেওয়ার পর যখন আবার বিয়ে করলেন তখন আমরা সেটা আনন্দেই মেনে নিই। মানুষ মানুষকেই বিয়ে করে। বিয়ের তালিকা থেকে এক জন ডিভোর্সিই বা বাদ যাবেন কেন? ডিভোর্সি মানেই যে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেছেন এমন কিন্তু নয়। আমি নিজেই এক জন ডিভোর্সি। আর এক জন ডিভোর্সিকে বিয়ে করতে আমার কোনও অসুবিধে নেই।”
বিদ্যার বর সিদ্ধার্থ রায় কপূরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন তাঁর শৈশবের প্রেমিকা। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন এক টিভি প্রযোজক। নিজের বিয়ের প্ল্যান সারা দুনিয়ার কাছে ঘোষণা করার আগে বিদ্যা অপেক্ষা করেছিলেন সিদ্ধার্থের দ্বিতীয় ডিভোর্স হওয়া পর্যন্ত। স্যাফ আলি খান আর অমৃতা সিংহের ডিভোর্সের অনেক পরে করিনা কপূর স্যাফের জীবনে আসেন। অমৃতা এবং করিনার মধ্যে যদি বা কোনও তিক্ততা থেকে থাকে তাঁরা কিন্তু সমাজের সামনে কোনও অশোভন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেননি।
|
শ্রীদেবী ও বনি কপূর |
ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী |
|
শিল্পা সে অর্থে এতটা সৌভাগ্যবতী নন। তিনি যখন ২০০৯ সালে রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তখন এই ব্যবসায়ীর প্রথম স্ত্রী কবিতা যথেষ্ট দোষারোপ করেছিলেন শিল্পাকে। এই বলে যে, শিল্পা তাঁর দীর্ঘদেহী, সুদর্শন, এবং ধনী স্বামীকে চুরি করে তাঁদের সুখের সংসার ভেঙে দিয়েছেন। সিনেমা ডিস্ট্রিবিউটর অনিল থাডানির প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে রবীনা ট্যান্ডনের সম্পর্কও একেবারেই ভাল ছিল না। সেই রবীনা এখন অনিল থাডানির বর্তমান স্ত্রী। অনিলের প্রাক্তন স্ত্রী নাতাশা সিপ্পি আর বর্তমান জীবন সঙ্গিনী রবীনা একটা নিউ ইয়ার পার্টিতে পরস্পরের প্রতি রীতিমতো অশালীন আচরণ করেন। প্রচণ্ড রাগের মাথায় রবীনা নাতাশার গায়ে এক গ্লাস ওয়াইন ঢেলে দিয়েছিলেন।
তাই বলে এই নয়, কোনও বাধাবিপত্তির সম্মুখীন এদের হতে হয় না। বাবা-মাকে অনেক প্রশ্ন শুনতে হয়। যেমন হয়েছিল অভিনেত্রী জয়া শীল ঘোষের ক্ষেত্রে। বাড়ির ঘোর আপত্তি ছিল বিবাহবিচ্ছিন্ন বিক্রম ঘোষকে বিয়ে করা নিয়ে। জয়ার জন্য বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক ছিল। তবে তিনি প্রেমে হাবুডুবু খান ‘হঠাৎ নীরার জন্য’-র সেটে। সেই বিয়ের সম্বন্ধটা ভেঙে জয়া বিক্রমকে বিয়ে করতে রাজি হন। বিক্রমের তখনকার ‘ক্যাসানোভা’ ইমেজটার জন্যও জয়ার বাড়ি থেকে আপত্তি ছিল। জয়ার মা এমনকী মুম্বই এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এসেও শেষমেশ জয়ার সঙ্গে কলকাতার প্লেনে ওঠেননি। জয়া চলে যান সেই বিমানে কলকাতায় বিয়ে করতে। মা রয়ে যান মুম্বইতে।
ওঁদের বিয়ে হয় ২০০৪-এ। জয়ার বাড়ি থেকে কেউ আসেননি। চার মাস পরে জয়া প্রেগন্যান্ট। তখন তাঁর মা আর তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি। “লোকে যে যাই বলুক বিক্রমের মধ্যে আমি এক জন জেনুইন মানুষ খুঁজে পেয়েছিলাম। ও আগেকার সম্পর্কগুলো সম্বন্ধে কিছুই লুকোয়নি। এ-ও বলেছিল শুধু আমাকে দেখেই বিয়ের কথা মনে হয়েছিল ওর। বিয়ের পরে আমি আমার কেরিয়ার স্যাক্রিফাইস করি। সংসার এবং বাচ্চার জন্য সময় দিই। আজ আমি আবার শু্যটিং করতে অসমে। আর বিক্রম ছেলেকে বেশ মানুষ করছে। এ সবের মধ্যে একবারও মনে হয়নি যে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে আমার জীবনে কিছু খামতি রয়েছে। প্রেমের বোধ হয় এ রকমই জাদু,” বললেন জয়া।
হয়তো এই জাদুর ছোঁয়াই বিদ্যা বালন আজ খুঁজে পেয়েছেন সিদ্ধার্থ রায় কপূরের মধ্যে।
|
মধুভাণ্ডার |
•
আর্থিক আরও নিরাপত্তা দেয়
•
অভিজ্ঞতায় আকৃষ্ট করে
•
অনেক কিছু শেখাতে পারে
•
অন্যের পরিবার নিয়ে চলতে পারে |
জানতে চাও সে কেমন ছেলে |
সিদ্ধার্থ রায় কপূর
• জন্ম- মুম্বইতে
• এমবিএ করেন যমনালাল বাজাজ ইনস্টিটিউট থেকে।
• প্রথম চাকরি ইউটিভি তে। তার পর হংকং এ যান স্টার প্লাস এ চাকরি সূত্রে। বর্তমানে ইউটিভি-র সিইও।
• পছন্দ করেন হঠাৎ বেড়াতে যেতে, থিয়েটার/ মিউজিক্যাল দেখতে। |
|
|