ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান চালু হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এই উপলক্ষে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী প্রমুখ। ওষুধ দোকানের উদ্বোধন করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, ন্যায্য মূল্যে ওষুধ দোকান চালু করার জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩৫টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ছাড়াও কয়েকটি মহকুমা হাসপাতাল রয়েছে সেই তালিকায়। এই দোকানে রাজ্যবাসী ৫১ শতাংশ কম দামে ওষুধ পাবেন বলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দাবি। পাওয়া যাবে শুধু জেনেরিক নামের ওষুধই। |
এ দিকে, এই ওষুধ দোকান চালুর ফলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই হাসপাতালের আশপাশের ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান। দুপুরের দিকে অবশ্য মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত সমস্ত ওষুধ দোকান খোলার নির্দেশ দেন। তিনি নিজেও ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। সাফ জানিয়ে দেন, এই ভাবে ওষুধ দোকান বন্ধ রেখে আন্দোলন করা যাবে না।
বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মেদিনীপুর জোনের সভাপতি আশিস চক্রবর্তী বলেন, “দোকান বন্ধ রেখে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়েছি।” তাঁর কথায়, “যাঁরা ওই ওষুধ দোকান করছেন, তাঁদের বেশি ছাড় দিচ্ছে কোম্পানিগুলি। অথচ, আমাদের সেই পরিমাণ ছাড় দিচ্ছে না।” নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবে বলে জানান আশিসবাবু।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের প্রতীকী প্রতিবাদ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভাল কিছু করতে গেলে তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা হয়ই। যদিও এটা প্রত্যাশিত নয়। ভুলত্রুটি হলে নিশ্চয়ই তা সংশোধন করব। তবে সরকার কোনও অন্যায় দাবির কাছে মাথা নত করবে না।” তাঁর কথায়, “ব্যবসা করুন। তবে মানুষকে সমস্যায় ফেলে নয়। ওষুধ দোকানগুলিতেও জেনেরিক নামের ওষুধ রাখা হোক।” |