এসএসকেএম হাসপাতালেই প্রথম ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানটি চালু করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে ওই দোকানের উদ্বোধন করতেও আগ্রহী ছিলেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রের খবর। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতাল সময়মতো প্রস্তুত হতে না পারায় তার পরিবর্তে প্রথম দোকানটি খোলা হল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গোড়ায় সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও পরে তা বাতিল হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের অপারগতায় মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা ক্ষুব্ধ বলে তাঁর সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে (পিপিপি) রাজ্যে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলা হবে বলে মাস কয়েক আগেই স্বাস্থ্য দফতর ঘোষণা করেছিল। এই সব দোকানে ওষুধ থেকে শুরু করে চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জাম বাজারের তুলনায় অনেকটাই সস্তায় পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছিলেন, প্রথম দোকানটি খোলা হবে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। কিন্তু স্থান নির্বাচন নিয়ে গোড়া থেকেই সমস্যা শুরু হয় সেখানে। পূর্ত দফতরের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের দফায় দফায় বৈঠকের পরে জায়গা বেছে নেওয়া হলেও কাজ শুরু হতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। এ দিকে মেডিক্যাল-সহ বিভিন্ন হাসপাতালে তত দিনে দোকান প্রস্তুত। সেগুলি অকারণ বন্ধ করে রাখলে পিপিপি প্রকল্পই ধাক্কা খেতে পারে। তাই এসএসকেএমের পরিবর্তে মেডিক্যাল কলেজ দিয়েই এ দিন প্রকল্পের সূচনা হল। |
কেন এসএসকেএমে প্রথম দোকানটি খোলা গেল না? অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রের বক্তব্য, এই হাসপাতালে ৬৭ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া যাবে। তাই ভিড়ও হবে বিপুল। ছোট জায়গায় হবে না। তিনি বলেন, “প্রথমে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দোকান হবে বলে স্থির হয়েছিল। কিন্তু যে সংস্থা ওটা চালাবে, তারা জানাল, দু’হাজার বর্গফুটের কম জায়গায় কোনও মতেই হবে না। অন্তত ১৪টা কাউন্টার থাকবে দোকানে। সেই কারণেই মেন ব্লকের সামনে জায়গা দেওয়া হয়েছে। জায়গা বদলের জন্যই খানিকটা দেরি হচ্ছে।” এ দিন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। হাজির ছিলেন পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বাস্থ্যসচিব সতীশ তিওয়ারী প্রমুখ। স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৩৫টি এমন দোকান খোলা হবে। ৪৮ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে এই দোকানগুলিতে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি এ দিন এম আর বাঙুর হাসপাতাল, বারাসত জেলা হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে এই দোকান চালু হয়েছে। |