এক মাস ধরে বন্ধ থাকার পর খুলতে চলেছে ডুয়ার্সের বান্দাপানি চা বাগান। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের যুগ্ম শ্রম আধিকারিকের দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ফের বাগান চালু করার কথা জানিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। যুগ্ম শ্রম আধিকারিক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, “বাগানটি সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য শ্রমিক ও মালিকপক্ষ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন। ঢেকলাপাড়া ও দলমোড় চা বাগান বাদে সমস্ত চা বাগান চালু রয়েছে।” শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগান চালুর দিন শ্রমিকদের একটি মজুরি দেবে কর্তৃপক্ষ। ১৫ ডিসেম্বর বাগানের কর্মীদের বেতন এবং ১৭ ডিসেম্বর একটি রেশন দেওয়া হবে। বকেয়া রেশন ও বেতন পরবর্তীতে ধাপে ধাপে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখেয়ে ডুয়ার্সের বীরপাড়ার বান্দাপানি বাগান কর্তৃপক্ষ গত ১০ নভেম্বর সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে বাগান ছেড়ে চলে যান। পরের দিন শ্রমিকরা কাজে গিয়ে জানতে পারেন, ম্যানেজার ও দুই জন সহকারী ম্যানেজার বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছেন। শীতের মরসুমে ফের মালিক পক্ষ বাগান চালু করতে উদ্যোগী হওয়া খুশি শ্রমিকরা। শ্রমিকরা জানান, কর্তৃপক্ষের অদক্ষতার কারণে বাগানের চায়ের উৎপাদন তলানিতে ঠেকেছে। বাগানের ১২৬০ হেক্টর জমির মধ্যে চা উৎপাদন হয় ৫০০ হেক্টর জমিতে। বহু গাছ ৫০ বছরের বেশি পুরনো। সেগুলি থেকে পাতা ঠিকঠাক মিলছে না। চা বাগান মালিক সংগঠন আই টি পিএ-র সচিব বলেন, “আমরা আশা করব, শ্রমিকরা সুষ্ঠু ভাবে কাজের পরিবেশ বজায় রাখবেন।” আর এস পি দলের চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের নেতা গোপাল প্রধান বলেন, “বাগান পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করব।”
|
জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিস সংলগ্ন রেলের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে। এ দিন কালিয়াগঞ্জ নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির তরফে স্থানীয় দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক চাষি ক্যাম্প অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। আন্দোলনকারীদের একাংশ এ দিন রেল কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি লেখা দুটি ফ্লেক্স ভাঙচুর করেন। এ নিয়ে ক্যাম্প অফিস চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর পরে কমিটির তরফে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মালদহ ডিভিশনের নির্মাণ বিভাগের উপ মুখ্য বাস্তুকারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
|
স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বাম প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের হাতে এক শিক্ষক নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটার কলেজ পাড়ায়। নিগৃহীত শিক্ষকের নাম উপল ভদ্র। তিনি ফালাকাটা হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। তিনি বাম সমর্থিত গণচেতনা মঞ্চের সম্পাদকও। অভিযোগ, তৃণমূলের দুই নেতা দলবল নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ চালায়। তারা উপলবাবুকে মাটিতে ফেলে লাথি ঘুসি মারতে শুরু করেন। ওই শিক্ষকের নাক দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। তাঁর পিঠে ও বুকে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে গেলে তাঁরা পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত তৃণমনূল নেতা বাদল দাস পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর ফালাকাটা হাই স্কুলে পরিচালন সমিতি নির্বাচন। গণচেতনা মঞ্চ ছয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মঙ্গলবার ৬ জনকে নিয়ে উপলবাবুরা কলেজ পাড়ায় প্রচারে যান। সে সময় তাঁদের উপরে হামলা চালানো হয়।
|
জিএনএলএফের এক সমর্থকের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার তিন সমর্থককে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মোর্চা সমর্থকরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের সোনাদায়। চরম হয়রানি হয় পর্যটকদের। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। সোমবার সন্ধ্যায় জিএনএলএফ সদস্য স্কাই তামাংয়ের উপরে হামলার অভিযোগে মোর্চার তিন সদস্য যোগেন রাই, লাদেন তামাং ও প্রভাকর রাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। এর পরেই মোর্চা সমর্থকরা সোনাদা টাউনে অবরোধ করেন। সোনাদায় কিছু দোকান বন্ধ রাখা হয়। মোর্চার অভিযোগ, স্কাই তামাং নানা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। |