যুবভারতীর ডার্বি ৪৮ ঘণ্টা আগেই পণ্ড হয়ে গেছে। কিন্তু ওকেলি ওডাফা বনাম উগা ওপারার লড়াই এখনও চলছে।
ওকেলি ওডাফার লাল-কার্ড যুক্তিসঙ্গত ছিল কি না, তা নিয়ে যখন ময়দান তোলপাড়, তখন উগা বলে দিলেন সে দিন রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
লাল-হলুদের নাইজিরীয়ান ফুটবলারটির ওপরই রবিবার ‘কিং কোবরাকে’ আটকানোর ভার ছিল। যে কারণে খুব কাছ থেকেই ওডাফার প্রতিটি আচরণ তিনি লক্ষ্য করেছিলেন। মঙ্গলবার অনুশীলনের পর ওপারা বললেন, “আগে থেকেই তো শোনা যাচ্ছিল ওডাফা পুরো ফিট নয়। তার ওপর বল না পেয়ে শুরু থেকেই মেজাজ হারাচ্ছিল। আমরা গোল করার পর ওডাফা আর নিজের মেজাজ ঠিক রাখতে পারেনি। রেফারির সঙ্গে যে আচরণ করেছে তাতে ওকে লাল কার্ড না দেখালেই ভুল সিদ্ধান্ত হত।” নবির চোট হয়তো ডার্বি পণ্ড হওয়ার কারণ হিসাবে সামনে উঠে আসছে। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত ওডাফাকে লাল কার্ড দেখানোয়। সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন উগা।
পাশাপাশি মোহনবাগান যে পুরো ম্যাচটা না খেলেই উঠে গেল, সেটা কিছুতেই মানতে পারছেন না ওপারা। কোনও রকম রাখঢাক না করেই তিনি বলে দিলেন, “ম্যাচটা না খেলে মোহনবাগান আসলে সদস্য-সমর্থকদের সঙ্গে প্রতারণাই করেছে। তাঁদের আবেগকে আঘাত করেছে।”
মঙ্গলবার সকালে ইস্টবেঙ্গল প্র্যাক্টিস তখন সবে শেষ হয়েছে। আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলার সময় ওপারা টেনে আনলেন, ২০০৪ ফেড কাপ ফাইনালে মোহনবাগান-ডেম্পো ম্যাচে জুনিয়রের মৃত্যুর দৃষ্টান্ত। বলছিলেন, “জুনিয়রের মারা যাওয়ার মর্মান্তিক ঘটনাটা আমি এখানে এসে শুনেছিলাম। সে দিন জুনিয়র মারা যাওয়ার পরও পুরো ম্যাচ হয়েছিল। মৃত্যুর থেকে বড় অঘটন তো কিছু হতে পারে না। নবির চোট পাওয়াটা সত্যিই দুঃখজনক। তবে এর সঙ্গে মোহনবাগানের ম্যাচ না খেলার কোনও যৌক্তিকতা ছিল না।”
ওপারা যখন ক্ষোভে ফুটছেন, তখন কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের আফসোস যাচ্ছে না। পরিষ্কার বলে দিলেন, “মোহনবাগানের মতো পরিস্থিতিতে পড়লে আমি কিন্তু পুরো ম্যাচটাই খেলতাম।” লাল-হলুদের আর এক ভরসা, মিডিও মেহতাব হোসেনের আক্ষেপ, “পুরো ম্যাচ না খেলে তিন পয়েন্ট পাওয়ার কোনও আনন্দ নেই।”
|