বিতর্কিত ডার্বির জেরে মোহনবাগানের নির্বাসন নিয়ে কি দোটানায় দেশের অন্য ক্লাবগুলো?
হংকং থেকে ডেম্পো কর্তা শ্রীনিবাস ডেম্পো যখন বলছেন, “চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়াটা শক্ত। নিশ্চয়ই আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানের রাস্তা বেরোবে।” ঠিক তখনই সালগাওকর কর্তা রাজ গোমস বললেন, “আইন মেনে নিশ্চয়ই একটা সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশন। তবে কেন মোহনবাগান ম্যাচ খেলল না তা সবার আগে খতিয়ে দেখা দরকার।”
গোয়ার দুই প্রধান ক্লাবের মতোই সুর লাজং এফসি কর্তা লারসিং মিংয়ের। তিনিও বলছেন, “আইন তো আইনের পথেই চলবে। সব দলের ক্ষেত্রেই তা প্রযোজ্য। কিন্তু মোহনবাগান আই লিগে না থাকলে সত্যিই তা ভারতীয় ফুটবলের দুঃখজনক অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত হবে। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সত্যিই কঠিন।”
|
প্রয়াগ কর্তা আলোকেশ কুণ্ডু আবার একধাপ এগিয়ে বললেন, “অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু কোনও ক্লাব শাস্তি পাক তা আমরা চাই না।” পুণে এফসি-র চিরাগ তান্নার কথায়, “দুঃখজনক অধ্যায়।”
আই লিগের অন্য দলগুলো যখন মোহনবাগানের নির্বাসন নিয়ে দোলাচলে তখন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সবুজ-মেরুনের নির্বাসন না চাইলেও কিন্তু বেশ আক্রমণাত্মক। দুই শিবিরের মধ্যে মঙ্গলবারেও জারি বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতির লড়াই।
মোহনবাগানের নির্বাসন রুখতে উদ্যোগ নেবেন? শুনে লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের সোজাসাপটা জবাব, “আই লিগের নিয়ম সম্পর্কে সব দল ওয়াকিবহাল। তা হলে সেই নিয়মের ২২সি ধারা লঙ্ঘন করলে ফেডারেশন তো তা মেনেই শাস্তি দেবে। যেমন লাল কার্ড বা চারটে হলুদ কার্ড দেখলে শাস্তি হয়। যদি ফেডারেশন এ ক্ষেত্রে সে রকম সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে তো আমাদের উদ্যোগ নেওয়ার আগেই সব হয়ে যাবে।” আর সংগঠনে মোহনবাগান সচিবের নম্বর দেওয়া প্রসঙ্গে বললেন, “উনি ফুটবল প্রশাসন দেখুন। মাস্টারমশাই হওয়ার দরকার নেই। সেটা ফেডারেশনের কাজ।” |
ক্লাব গভীর সঙ্কটে। মাঠে পরামর্শ কোচ-অধিনায়কের।
মঙ্গলবার মোহনবাগান মাঠে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
এরই মাঝে মোহনবাগান সচিব মঙ্গলবার বলে বসেন, “কেন রক্তাক্ত নবিকে সে দিন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা তুলতে গেলেন? আসলে ওদের উদ্দেশ্য ছিল সাইডলাইনের বাইরে নবিকে দিয়ে এসে ম্যাচ শুরু করা।” যা শুনে দেবব্রতবাবু বলছেন, “এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার রুচি নেই। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ফুটবলারদের মানবিকতা শেখানো হয়। আর নবি আমাদের সকলের প্রিয়।”
মোহনবাগানের মাঠে নিরাপত্তার অভাব বোধ প্রসঙ্গেও তাঁর ‘মু-তোড়’ জবাব, “ফেডারেশন কর্তা, রেফারি, ম্যাচ কমিশনার, মন্ত্রী, প্রশাসনের সামনে আর কত নিরাপত্তা দরকার ছিল? প্রশাসনের বৈধ স্ট্যাম্প মেরেই টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। সুতরাং বেশি লোক মাঠে ঢোকানোর অপপ্রচারও বন্ধ হওয়া দরকার।” |