সিঙ্গুর-লাগোয়া চণ্ডীতলার একটি স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটে হেরে গেল তৃণমূল। রবিবার গঙ্গাধরপুরের হেঁড়িয়াদহ সুধাপ্রসাদ বালিকা বিদ্যামন্দিরের অভিভাবক প্রতিনিধিদের ৬টি আসনে ভোট হয়। বামেরা ৪টি আসনে জেতে। ২টি পেয়েছে তৃণমূল। গত বার পরিচালন সমিতি ছিল তৃণমূলের দখলে। স্কুলটি চণ্ডীতলা বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত হলেও সিঙ্গুরের মির্জাপুর-বাঁকিপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ জগৎনগর, দক্ষিণ মামুদপুর, দীঘলডাঙা থেকে মেয়েরা এখানে পড়তে আসে।
সিঙ্গুরে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের নিরিখে এই ফলাফলকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সিপিএম। ভোটের দিন হরিপালের বিধায়ক তথা নবনিযুক্ত মন্ত্রী বেচারাম মান্না নিজেও কিছু সময়ের জন্য হাজির ছিলেন ওই স্কুলে। তারপরেও তৃণমূলের এই ফল কেন? তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তার প্রভাব পড়েছে স্কুলভোটে। দলের অন্য একটি অংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ফলাফল। চণ্ডীতলা ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “তৃণমূলকে হারাতে সিপিএমের সঙ্গে অন্যেরা ভেতরে ভেতরে গাঁটছড়া বেধেছিল। বেশ কিছু ভোট বাতিলও হয়েছে। খুব কম ব্যবধানে আমাদের প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।” অন্য দিকে, সিপিএম নেতা আজিম আলির বক্তব্য, “রবীন্দ্রনাথবাবুর বিষয়টি প্রভাব ফেলেছে। তা ছাড়া, ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও আমাদের জেতার পথ প্রশস্ত করেছে। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটাই হবে।” কী বলছেন বেচারাম? তাঁর বক্তব্য, “ওই স্কুলের ভোটের ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। স্কুলটি আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে না।” কিন্তু তা হলে ভোটের দিন কেন গিয়েছিলেন স্কুলে? মন্ত্রীর যুক্তি, “ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ে দলের ছেলেদের দেখে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম।” যদিও আজিমের কটাক্ষ, “ওদের মন্ত্রী নিজে থেকেও জেতাতে পারলেন না প্রার্থীদের।” |