সরকারি দফতরের গাফিলতিতে মাসের পর মাস মোটর বাইকের বৈধ কাগজপত্র মিলছে না বলে অভিযোগ। ফলে, নতুন মোটরবাইক কিনেও তা চালাতে পারছেন না হুগলির বহু মানুষ। অনেকে নম্বরপ্লেটহীন বাইক বের করে পুলিশের কাছে হয়রান হচ্ছেন। শোরুম থেকে তাঁদের বলা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে (আরটিও) পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সরকারি দফতরের কর্তারা আবার বলছেন, শো-রুম থেকেই অনেক দেরিতে কাগজপত্র পাঠানো হচ্ছে।
বৈধ কাগজপত্র না পাওয়ায় হয়রান হচ্ছেন হুগলির মোটরবাইক আরোহীরা। তাঁদের অভিযোগ, শোরুম থেকে নতুন গাড়ি কেনার পরে সেখানেই রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনপত্র ভর্তি করে টাকা জমা দিচ্ছেন তাঁরা। দোকান থেকে বলা হচ্ছে, গাড়ি কাগজপত্র পাওয়া যাবে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর থেকে। সেখানে কাগজপত্রের জন্য দরবার করলে জানানো হচ্ছে, শো-রুম থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি-সহ আবেদনপত্র জমা হয়ে থাকলে গাড়ির বৈধ কাগজপত্র বাড়িতে পৌঁছে যাবে। কিন্তু সাত থেকে আট মাস কেটে গেলেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাগজপত্র আসছে না বলে অভিযোগ। |
এ সবের জেরে নতুন গাড়িতে নম্বার লেখাতে পারছেন না ক্রেতারা। নম্বরপ্লেটহীন এবং বৈধ কাগজ ছাড়া গাড়ি নিয়ে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকে। অনেকে পুলিশের কাছে হয়রান হচ্ছেন। নম্বরপ্লেট এবং বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানো বেআইনি। জরিমানা, জেল সবই হতে পারে।
আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) আবিদ হোসেন বলেন, “শো-রুম থেকে গাড়ি কেনার সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আবেদনপত্র ভর্তি করিয়ে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন বাবদ টাকাও নেওয়া হয়। ক্রেতারা পরিবহণ দফতরে লাইন দিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ঝামেলা এড়াতে শো-রুমের কাছেই সমস্ত কিছু দিয়ে আসেন। কিন্তু শো-রুমগুলি তাদের নিজেদের স্বার্থে কিংবা ব্যবসায়িক কারণে ঠিকমতো সে সব আমাদের দফতরে পাঠায় না। তার জেরে গাড়ি-সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র হাতে পেতে দেরি হয় ক্রেতাদের।”
জনৈক শো-রুম কর্তৃপক্ষ আবার জানান, বেশ কিছু ক্রেতার আবেদন এক সঙ্গে জড়ো করে জমা দিতে গিয়ে কিছুটা দেরি হয় ঠিকই, কিন্তু আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কিছু স্বার্থান্বেষি আধিকারিকের ঔদাসীন্যের জন্যও কাগজপত্র ক্রেতাদের হাতে পৌঁছতে দেরি হয়। |