|
|
|
|
গুজরাত ভোটের আগে মইলির এলপিজি-তাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ভর্তুকি মূল্যে পরিবারপিছু বছরে বরাদ্দ গ্যাস সিলিন্ডারের সংখ্যা এখনকার ৬টি থেকে বাড়িয়ে ৯টি করার সিদ্ধান্ত শীঘ্রই সরকার ঘোষণা করবে বলে জানালেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি। জানালেন এমন একটা সময়ে, যখন গুজরাতে প্রথম দফার ভোটগ্রহণের আর মাত্র ৩৬ ঘণ্টা বাকি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ মইলি বলেন, এ ব্যাপারে এক রকম সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গেও আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হবে। নতুন বছর থেকে সম্ভবত এই নীতি কার্যকর করা হবে বলেও মইলি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের জেরে নির্বাচন কমিশন সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে, গুজরাতে ভোটপর্ব না মেটা পর্যন্ত যেন এই মর্মে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা না হয়।
কিছু দিন আগেই রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে মনমোহন সরকার। কিন্তু ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে ভর্তুকির সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯টি করার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় কংগ্রেসকে। তা কার্যকরও হয় কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে। কিন্তু সারা দেশের নিরিখে কেন্দ্রের তরফে এখনও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলা হয়নি। সে দিক থেকে মইলির মুখ খোলার সময় নিয়েই আজ প্রশ্ন উঠছে। স্বভাবতই বিরোধীদের অভিযোগ, গুজরাত ভোটে প্রভাব ফেলার জন্যই এই রাজনৈতিক চাল দিল সরকার।
তবে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, প্রকৃতপক্ষে যদি গুজরাত ভোটে প্রভাব ফেলাই মইলির লক্ষ্য হয়, তা হলে তাঁর উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে না। রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছেই যাবে। হিমাচলে ভোটের ঠিক ৭২ ঘণ্টা আগে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল, ডিলারদের কমিশন বাড়াতে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম আরও ২৫ টাকা বাড়ানো হবে। সেই ঘোষণার পরক্ষণেই ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম হাজার টাকা ছোঁবে প্রচার শুরু হয়ে যায়। ফলে তড়িঘড়ি সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়। ভোটের প্রাক্মুহূর্তে এই ‘অবিবেচকের মতো ঘোষণা’ নিয়ে দলের অন্দরমহলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। সনিয়া গাঁধীর কাছে গিয়ে তাঁরা সেই ক্ষোভের কথা জানান। পরে অবশ্য দলের নেতাদের কাছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী দাবি করেন, মন্ত্রকের এক অধস্তন কর্তা অন্তর্ঘাত করে ওই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন। সে দিক থেকে বলতে গেলে, আজ দু’ভাবেই পুরনো ক্ষত মেরামতের চেষ্টা করলেন মইলি।
|
|
|
|
|
|