কলেজে আসছেন রাষ্ট্রপতি
কটি সামান্য টিনের চালাঘর। সেই ঘরেই স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। ১৯৫৩-৫৬ সাল পর্যন্ত সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের চালাঘরের সেই পড়ুয়া পল্টুই এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। থাকতেন কলেজের ছাত্রাবাসেই। ক্রমে ইন্টারমিডিয়েট থেকে বাংলা স্নাতক হওয়ার পর পড়তে চলে গিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯ ডিসেম্বর নিজের পুরনো কলেজে ফিরছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি যোগ দেবেন সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
কলেজের অধ্যক্ষ লক্ষ্মীনারায়ণ মণ্ডল বলেন, “টিনের চালাঘরে ক্লাস করা এক যুবক এখন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তা ভাবলেই গর্ব হচ্ছে। ওই চালাঘর দেখিয়েই প্রণববাবুকে তাঁর ছাত্রাবস্থার দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। পরে তাঁকে সংবর্ধনাও দেওয়া হবে।”
কলেজ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই ওই সময়ে প্রণববাবুর শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।
আগমন বার্তা। —নিজস্ব চিত্র।
অধ্যক্ষ জানালেন, শিক্ষক বলতে বাংলার অধ্যাপক দেবরঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের কথা জানা গিয়েছে। আর সিউড়ির বাসিন্দা ষষ্ঠীকিঙ্কর দাস-সহ বেশ কয়েক জন সহপাঠীর সঙ্গেও তাঁরা যোগাযোগ করেছেন। পেশায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক ষষ্ঠীবাবু সিউড়ি পুরসভার প্রাক্তন কংগ্রেস চেয়ারম্যান। সহপাঠীর স্মৃতিচারণায় বললেন, “এক দিন এক শিক্ষক আমাদের নিয়ে ক্লাসে কটূ মন্তব্য করেছিলেন। পল্টু একাই দাঁড়িয়ে বিনয়ের সঙ্গে যুক্তি দিয়ে তার প্রতিবাদ করেছিল। পরে ওই অধ্যাপকও তাঁর ত্রুটি স্বীকার করেছিলেন।” সেই পল্টু কলেজে আসছে শোনার পর থেকেই তর সইছে না ষষ্ঠীবাবুর। অন্য দিকে, দেবরঞ্জনবাবুও বলেন, ‘‘ফোনে কথা হয়। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম আমার ছাত্রকে দেখব।”
দেশের রাজনীতির অলিন্দের একেবারে শীর্ষে সব সময় ঘোরাফেরা করলেও প্রণববাবু নিজের কলেজকে কোনও দিনই ভোলেননি বলে ষষ্ঠীবাবুর দাবি। তাঁর কথায়, “যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান থাকার সময় প্রণবই উদ্যোগী হয়ে এই কলেজকে ৯৫ লক্ষ টাকা অনুদান পেতে সাহায্য করেছিলেন। কলেজের উন্নয়নে ওই টাকা অনেক কাজে লেগেছিল।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.