জোড়া খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক সিপিএম কাউন্সিলরের ছেলেকে ধরল পুলিশ। শনিবার রাতে রায়গঞ্জ থানার বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম তন্ময় দাস। বাড়ি বন্দর এলাকায়। তন্ময় রায়গঞ্জের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর তপন দাসের ছেলে। কয়েক মাস আগেই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তাকে ধরে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ১০ নভেম্বর রায়গঞ্জের ভাটোল ও গৌরী এলাকা থেকে ভাটোল এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ ইমাম ও দাউদ আলম নামে দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের অভিযোগ ছিল। ওই খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তন্ময়বাবুকে ধরা হয়। আইসি সমীরকুমার পাল বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচা, টাকা পয়সা লেনদেন নিয়ে মহম্মদ ইমাম ও দাউদ আলমের সঙ্গে তন্ময় ও আইনুল হক নামে এক যুবকের গোলমাল চলছিল। তা থেকেই তাদেরকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তন্ময়কে আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
অন্য একটি ঘটনায়, রবিবার বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে কাশেম আলি নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গত বুধবার রাতে রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজপুর এলাকায় বাড়ির সামনের রাস্তার ধার থেকে সাহাজাহান আলি নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানায়, জমি দখলকে কেন্দ্র করে শরিকি বিবাদের জেরেই ওই যুবককে খুন করে দুষ্কৃতীরা। নিহতের বাবা সামসের আলি ছেলেকে খুন করার অভিযোগে কাশেম আলি ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। |