একেই উত্তর দিনাজপুরে শক্তির বিচারে পিছিয়ে সিপিএম। তারপরও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে জেলায় শরিকি বিবাদ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে দল। রবিবার রায়গঞ্জের ছন্দম মঞ্চে জেলা বামফ্রন্টের একটি কর্মিসভায় যোগ দিয়ে সেই আশঙ্কার কথাই স্পষ্ট করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক, বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
সভার পরে বিমানবাবু বলেন, “ফ্রন্টের শরিক দলের মধ্যে যে দলের যেখানে ক্ষমতা বেশি সেখানে সেই দলই প্রার্থী দেবে। রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে জেলা নেতৃত্বকে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার পরও কোথাও সমস্যা না মিটলে সংশ্লিষ্ট দলকে বামফ্রন্টে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফ্রন্টের সভায় আলোচনা করে সমস্যার নিষ্পত্তি হবে।”
২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলার সোসালিস্ট পার্টি, সিপিআই ও ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে সিপিএমের আসন সমঝোতা হয়নি। একাধিক আসনে তিনটি দলই প্রার্থী দিয়েছিল। জেলা পরিষদের একটি বাদে বাকি ২৩ আসনে বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা হয়েছিল। পরে ৯৮টি পঞ্চায়েতের মধ্য বামফ্রন্টগত ভাবে ২৬টি পঞ্চায়েত দখল করেছিল বামেরা। ন’টি পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি দখল করে বামফ্রন্ট। জেলা পরিষদের ২৪টির মধ্যে ৮টি আসন দখল করে বামফ্রন্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য জেলায় জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে পারে বলে এ দিন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিমানবাবু! মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনাও করে তিনি বলেন, “সরকার শিল্প ও সংস্কৃতিকে গুলিয়ে ফেলে শিল্পের পরিবেশ নষ্ট করেছে। হলদিয়া থেকে এবিজি বিদায় হওয়ায় রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। শিল্পপতিরা রাজ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সভার নামে দলীয় প্রচার চালাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা আইন আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন! বিমানবাবুর পরামর্শ, “সংবিধান সম্পর্কে অবহিত করতে মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারের উচিত মন্ত্রীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করা।” |