হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর দেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। শনিবার দুপুরের এই ঘটনায় মৃতের আত্মীয়-পরিজন ইসিএলের কাল্লা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অরুণ বাউড়ি (৩৪)। বাড়ি জামুড়িয়া থানার শিবপুর এলাকায়। তিনি ইসিএলের নর্থ সিহারসোল কোলিয়ারিতে কাজ করতেন। পুলিশ জানায়, আসানসোল উত্তর থানার পড়িরা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তাঁর দেহটি উদ্ধার হয়েছে।
রোগীর বাড়ির লোকজন জানান, গত ৫ ডিসেম্বর পেট ব্যথা ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় অরুণবাবুকে। শনিবার সকালে তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে দেখতে পাননি। ওই ওয়ার্ডের নার্স ও চিকিৎসককে বিষয়টি তাঁরা জানান। এর পরে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। বিকেলে রোগীর পরিজনেরা আসানসোল উত্তর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান। তখন পুলিশ তাঁদের জানায়, সে দিন দুপুর ২টা নাগাদ পড়িরা গ্রামের একটি পুকুর থেকে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহটি শনাক্ত করেন মৃতের বাড়ির লোকজন।
এর পরে শনিবার সন্ধ্যায় অরুণবাবুর আত্মীয়-পরিজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতের মা মিধা বাউড়ি এই ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেন। তাঁর প্রশ্ন, “চিকিৎসারত এক জন রোগী হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসক, অন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গেল কী করে?” পুলিশ জানায়, হাসপাতাল থেকে প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে পড়িরা গ্রামের একটি পুকুর থেকে রোগীর দেহ মিলেছে। মৃতের বাড়ির লোকজনের আরও অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে রোগী উধাও হওয়ার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশও জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে তারা কোনও অভিযোগ পায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |