টুকরো খবর |
চা-বলয়ে প্রস্তুতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বানারহাট |
পঞ্চায়েত ভোটে চা বলয়কে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সিপিএম। বিশেষ করে চা শ্রমিকদের সমস্যা ও দুর্দশা, বন্ধ বাগানকে বেশি করে প্রচারের আলোয় এনে আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে। রবিবার ডুয়ার্সের বানারহাটে চা বলয়ে দলের তৃণমূল স্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে কর্মশালা করে সিপিএম। উপস্থিত ছিলেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য নিরুপম সেন এবং রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মৃদুল দে। সেখানে বিষয়গুলি নিয়ে কথা হয়েছে। কর্মশালার পর নিরুপমবাবু বলেন, “রাজ্য স্তর বা উপর থেকে দেখে আসলে বোঝা যায় না স্থানীয় স্তরে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে। তা স্পষ্ট হতে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই আমাদের কর্মসূচি ঠিক করতে হবে।” জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং ও উত্তর দিনাজপুরের চা বাগানের ১৫০ প্রতিনিধি কর্মশালায় আসেন। দলের নেতারা জানান, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ছাড়া অবশিষ্ট দুই জেলায় বাগান অপেক্ষাকৃত নতুন। সেখানে সংগঠন থাকলেও বর্তমানে শক্তিশালী নয়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, আদিবাসী বিকাশ পরিষদের উত্থানে দার্জিলিং, ডুয়ার্সে দলীয় শ্রমিক সংগঠন খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। যা শ্রমিক সংগঠন সিটু সদস্যসংখ্যা থেকে পরিষ্কার। ৯৮ সালের পরিসংখ্যানে জলপাইগুড়ি জেলার ১৫৬ চা বাগানে সিটুর সদস্য ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার। ২০০৮-এ তা ৮০ হাজার ও এক বছর আগে কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজারে। জেলায় ১৪৬টি পঞ্চায়েতের ৬০টি দখলের ভাগ্য চা শ্রমিকদের উপর নির্ভরশীল। এই বিশাল ভোটারকে কাছে পেতে মরিয়া সিপিএম বন্ধ বাগানে শ্রমিক দুর্দশা ও মৃত্যু, সরকারের ভূমিকাকে প্রচারে আনতে চায়। দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর নেতা মৃদুলবাবু বলেন, “বাম আমলে বন্ধ বাগানের শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে এক সঙ্গে সব দফতর কাজ করত। চালু বাগানের থেকে বন্ধ বাগানের শ্রমিকেরা সুবিধা বেশি পেতেন। এখন সেই পরিস্থিতি ধরে রাখতে পারেনি নতুন সরকার।”
|
বেরুবাড়িতে চা কারখানা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেরুবাড়ি |
স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে চা পাতা তৈরির কারখানা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বেরুবাড়ির ক্ষুদ্র চাষিরা। নবজাগরণ ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি নামে এলাকার ৩২৩ জন ক্ষুদ্র চা চাষিকে নিয়ে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি কারখানায় রবিবার থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। ৪ কোটি টাকা খরচ করে কারখানায় গোষ্ঠীর সদস্যদের বাগানের কাঁচা পাতা দিয়ে সিটিসি চা উৎপাদিত করা হবে। বাগান থেকে কাঁচা পাতা কারখানায় নিয়ে আসার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করেছে গোষ্ঠী। নবজাগরণ ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস বলেন, “ক্ষুদ্র চা চাষিদের পাতা বিক্রির জন্য আর অন্য কারখানার দারস্থ হতে হবে না। তাঁরা এবার থেকে নিজেদের কারখানাতেই চা পাতা বিক্রি করতে পারবেন। ভাল দাম পাবেন।” এখন পর্যন্ত ৪০ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই হয় ক্ষুদ্র চা চাষি না হলে তাঁদের পরিবারের সদস্য। ইতিমধ্যে পরীক্ষামুলক ভাবে প্রায় ২০ হাজার কিলোগ্রাম সিটিসি চা কারখানায় উৎপাদন করা হয়েছে। যার বাজার দর প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা। বছরে প্রায় ৮ লক্ষ কেজি চা পাতা এই কারখানায় উৎপাদিত হতে পারে বলে জানানো হয়। কারখানা তৈরি করতে গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেরাই ১ কোটি টাকা লগ্নি করেছেন। বাকি টাকা ব্যাঙ্কঋণ ও চা পর্ষদের অনুদান। জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সভাপতি অপূর্ব রায় বলেন, “জেলায় ২৪টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী আছে। জেলায় ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংখ্যা ১৫ হাজার। সবকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কারখানা শুরু হলে জেলার অর্থনীতিই বদলে যাবে।”
|
ফের মৃত্যু হল বন্ধ দলমোড়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বীরপাড়া |
ডুয়ার্সের বন্ধ দলমোড় চা বাগান এলাকায় যেন মৃত্যুর মিছিল চলছে। শনিবার রাতে আরও এক মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম কর্পিনা ওঁরাও (৫৬)। এ দিনের ঘটনা নিয়ে গত চার মাসে ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হল ওই বাগানে। তাঁদের মৃত্যুর কারণ অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রোগ, চিকিৎসার অভাব এমনটাই অভিযোগ শ্রমিক মহলের। গত সোমবার মারা গিয়েছেন মাগমি মুন্ডা নামে বছর পঞ্চাশের এক শ্রমিক। গত ২৯ জুলাই শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে ওই বাগান ছেড়ে চলে যান কর্তৃপক্ষ। বিপাকে পড়েন ১২২৩ জন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। বাগান জুড়ে অনাহারের ছায়া নেমে আসে। ভোরের আলো ফুটতে মহিলারা দল বেঁধে রওনা দেন জঙ্গলে। সেখানে ঘুরে বুনো কচুর কন্দ, লতাপাতা তুলে আনেন। ছেলেরা দিনভর ঘুরে বেড়ায় কাজের খোঁজে। জুটলে ভাল। না হলে বাড়িতে ফিরে কচুর কন্দ সেদ্ধ খেয়ে শুয়ে পড়েন। এ ভাবে অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে এলাকায় বাড়ছে অপুষ্টিজনিত রোগের প্রকোপ। শনিবার কর্পিনার মৃত্যু একই ভাবে হয়েছে বলে বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে মারা যান বাগানের বড় লাইন এলাকার বাসিন্দা ৪২ বছরের লক্ষ্মী মুন্ডা। লক্ষ্মীর স্বামী মাংরা জানান, বাগান বন্ধ হওয়ার পরে অভাব শুরু হয়। জঙ্গলের লতাপাতা, কন্দ সেদ্ধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন লক্ষ্মী। প্রায় দু’মাস ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁকে বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা লক্ষ্মীকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রেফার করেন। মাংরা বলেন, “ঘরে খাবার নেই। জলপাইগুড়িতে যাব কেমন করে।” তিনি বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে স্ত্রী মারা যান। মাদারিহাট-বীরপাড়ার বিডিও পেম্বা শেরপার দাবি, ওই বাগানে চার মাসে দু’বার চাল দেওয়া এবং ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ দেওয়া হয়েছে।” শ্রমিকদের অভিযোগ, সময়ে টাকা মিলছে না। বাগান না খুললে এ ভাবে কাজ দিয়ে লাভ হবে না। উত্তরবঙ্গের শ্রম দফতরের যুগ্ম আধিকারিক মহম্মদ রিজওয়ান বলেন, “বাগান খোলার জন্য কয়েক বার বৈঠক হয়। কিছু দিনের মধ্যে আবার বসব।”
|
কালিম্পঙে প্রকৃতি পাঠ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
১০০ প্রতিবন্ধীকে প্রকৃতি পাঠ করাতে কালিম্পংয়ের সাকাম জঙ্গলে নিয়ে যাবে ন্যাফ। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কথা জানান ন্যাফের সম্পাদক অশোক নন্দী। তিনি জানান, এটা তাদের ২২ তম ক্যাম্প। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর সাকামে প্রকৃতি পাঠ করবে নানা বয়সের শিশু ও কিশোরেরা। ব্যাঙ্গালুরু, জামসেদপুর, কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫ বছরের শিশু থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত যুবকরা ক্যাম্পে অংশ নেবে। সেখানেই ২৫ তারিখ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্যও প্রকৃতি পাঠের আসর বসবে। সেখানেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ৫ থেকে ১৪ বছরের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করবে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর ন্যাফের ১৬ জনের এক দল সাকামে গিয়ে ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু করবেন। ১৮ তারিখ শিলিগুড়ি থেকে প্রতিবন্ধী শিশু আর কিশোরদের নিয়ে ন্যাফের আর একটি দল সাকামের পথে রওনা হবে।
|
রিকশার লাইসেন্স
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নেপাল সীমান্তে অবৈধ রিকশার রমরমা আটকাতে লাইন্সেস দেওয়ার কাজ শুরু করল খড়িবাড়ির রানিগঞ্জ-পানিশালী পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। শনিবার পঞ্চায়েতের অফিস থেকে লাইন্সেস দেওয়া হয়। পাশাপাশি রিকশার নম্বর দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কিতে প্রায় এক হাজার রিকশা চলাচল করে। সেগুলি নেপালে যাতায়াত করে। রিকশা চালকদের মধ্যে দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও রিকশা এলাকায় যানজট তৈরি করছে বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায়, রিকশা চালকদের লাইন্সেস এবং রিকশায় নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। ৫০০ রিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে বলে পঞ্চায়েত প্রধান হান্দ্রু ওঁরাও জানান।
|
জলপাইগুড়িতে গ্রামীণ পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
গ্রামীণ পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে অনুশীলন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলায় গ্রামীণ পুলিশদের অনুশীলনের সূচনা করা হয়েছে। জেলার ১৪০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে গ্রামীণ পুলিশ কাজ করবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৩১ জনকে নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও তাড়াতাড়ি নিয়োগ করা হবে বলে জেলা পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি জানিয়েছেন। পুলিশ সুপার রবিবার বলেন, “দূর দূরের গ্রামগুলির সঙ্গে পুলিশের একটি যোগসূত্র গড়ে তোলার জন্যে এই গ্রামীণ পুলিশদের নিয়োগ করা হয়েছে। এঁদের মাধ্যমে গ্রামের নানা খবরাখবর পাওয়া এবং গ্রামগুলিতে পুলিশি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।” গ্রামীণ পুলিশদের মাসে মোট ২২ দিন কাজ করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি দিন কাজের জন্যে এঁরা ৩১০ টাকা করে পাবেন।
|
পুড়ল বেকারি
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
|
পুড়ে যাওয়া বেকারি পরিদর্শনে রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য।—নিজস্ব চিত্র। |
আগুনে পুড়ে গেল একটি বেকারি। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার দেশবন্ধুপাড়ায়। দমকলের তিনটি ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেকারির মালিক হিন্দোল সুরচৌধুরী জানান, দোকানে আট জন কর্মী ছিলেন। তাঁরা বিষয়টি হিন্দোলবাবুকে জানান। এর পরেই দমকলকে খবর দেওয়া হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে প্রায় পুরো দোকানটিই পুড়ে যায়। হিন্দোলবাবুর দাবি, প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার জিনিস পুড়ে গিয়েছে। রবিবার ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য।
|
প্রয়াত শিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রয়াত হলেন শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজকিশোর বসু (৭৫)। গত শুক্রবার শিলিগুড়ির কলেজ পাড়ার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লিতে। তিনি গণিতের শিক্ষক ছিলেন। গত ছ’মাস ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজকিশোরবাবু। কয়েকবার নার্সিংহোমে ভর্তি হন। এ বারে দশ দিন ভর্তি ছিলেন। |
|