জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের প্রার্থীদের সব আসনে হারিয়ে শিলিগুড়ির ফণিভূষণ বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হল বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষা গণতন্ত্রিকরণ সংস্থা। রবিবার ওই নির্বাচন হয়। আগে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ৩টি আসনেও বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষা গণতন্ত্রিকরণ সংস্থার প্রার্থীরা জয়ী হন।
এ দিন অভিভাবক প্রতিনিধিদের নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি সিপিএমের স্থানীয় শাখা কমিটির সম্পাদক অজয় মৈত্রের বাড়ির চৌকিদার। ওই নেতাই তাঁকে ভোট দিতে পাঠিয়েছেন। শিক্ষা মঞ্চের তরফে এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের অন্যতম নেতা জয়ন্ত কর বলেন, “রিগিং করেই বামেদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।”
গত বছর নির্বাচনে ওই স্কুল পরিচালন সমিতি বামেদের দখলেই ছিল। তবে সে বার অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ১টি আসনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের প্রার্থী জিতে ছিলেন। এ বার একটিও আসনেও তাঁরা জিততে পারেননি। শিক্ষা গণতন্ত্রিকরণ সংস্থার পক্ষে দার্জিলিং জেলা সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, “ক্ষমতাসীন সরকার শিক্ষায় নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ক্রমেই মানুষ তা বুঝছেন। এই ফল তার প্রতিফলন।” জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের জয়ন্তবাবুদের দাবি, ৬টি আসনে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটার ছিল ৩৯৫ জন। তাদের ৬০ শতাংশ এ দিন ভোট দিয়েছেন। তা দিয়ে রাজ্যের শিক্ষা পরিবেশ বিচার করা অযৌক্তিক। এ দিন স্কুল নির্বাচনে নকল ভোট দেওয়ার অভিযোগে যাকে গ্রেফতার হয়েছে তাঁর নাম চন্দ্রকান্ত দেবনাথ। পরিচয় জানতে চাইলে তিনি অজয়বাবুর বাড়িতে চৌকিদারের কাজ করেন বলে জানিয়েছিলেন। তাঁর ছেলেমেয়ে কেউ ওই স্কুলে না পড়লেও কী কারণে তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অজয়বাবু বলেন, “আমার সঙ্গে ওই চৌকিদারের কোনও সম্পর্ক নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ। অভিভাবকরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আমাদের ভোট দিয়েছেন।” বাম মনোভাবাপন্ন শিক্ষা গণতন্ত্রিকরণ সংস্থার তরফে পুরসভার বাম কাউন্সিলর শরদিন্দু চক্রবর্তীর দাবি, জাতীয়তাবাদী শিক্ষা মঞ্চের অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযুক্ত চৌকিদার যে আবাসনের সেখানে অজয়বাবু ছাড়াও ১৪ টি পরিবার থাকে। তবে ওই ব্যক্তির জাল ভোট দেওয়ার সঙ্গে অজয়বাবুর কোনও সম্পর্ক নেই। |