অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ নিয়ে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিরোধ চরম আকার নিয়েছে। রবিবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘটের হুমকি দেয় শিলিগুড়ি ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল কমিশন এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের কর্মকর্তা তপন সাহার দাবি, বাজার সমিতির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দ অংশের সঙ্গে আরও কিছুটা জায়গা শৌচাগার এবং ব্যবসায়ীদের থাকার জায়গার জন্য তাঁরা ব্যবহার করতে পারবেন বলে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবেই ১৯৮৩ সাল থেকে তারা ব্যবসা করছেন। এ বারে হঠাৎ করে অতিরিক্ত জায়গায় থাকা ঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা শৌচাগার করতে পারবেন। কিন্তু সেখানে থাকার ঘর করা হয়েছে। তাতে শ্রমিক-সহ অনেকেই থাকছেন। এটা বেআইনি। এ ভাবে জায়গা দখল করে রাখা ঠিক নয়। তাতে বাজারে নানা সমস্যা হচ্ছে। চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করার পরও তাঁরা জায়গা না ছেড়ে দেওয়ায় অভিযান শুরু করা হয়েছে। ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে অবৈধ কাজ ঠিক নয়।” বাজার সমিতির অভিযোগ, শ্রমিক ও বাইরের ব্যবসায়ীদের আড়ালে সেখানে দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিচ্ছে। অবৈধ মদের ব্যবসার রমরমা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে প্রায় পাঁচশো দোকান রয়েছে। তার বাইরে অবৈধ ভাবে বেশ কিছু দোকান সেখানে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ পায় প্রশাসন। গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ দোকান ভেঙে দেয় নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। সে সময় ব্যবসায়ীদের একাংশের বাধায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। ফের শনিবার অভিযান চালায় প্রশাসন। তপনবাবু বলেন, “নিয়ন্ত্রিত বাজারে চব্বিশ ঘণ্টা ব্যবসা হয়। সে জন্য শ্রমিকের এবং বাইরের থেকে আসা ব্যবসায়ীদের থাকার ব্যবস্থা আমাদের করতে হয়েছে। এত দিন ধরে এটাই হয়ে আসছে। হঠাৎ প্রশাসন যদি অন্য কিছু ভাবে তা হলে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন। তা করা হয়নি। জোর করে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটে যাব আমরা।” |