পঞ্চায়েতে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ
প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে, মত রাজনৈতিক দলগুলির
সন বেড়েও আসলে আসন কমে গেল জেলা পরিষদের।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসন বিন্যাসের খসড়াই বলছে এ কথা। ওই খসড়ায় জেলা পরিষদে ৬টি আসন বেড়ে ৫৭ হলেও অসংরক্ষিত আসনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৫টিতে। আর তা নিয়েই চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
কারণ গতবারে আসনসংখ্যা কম থাকলেও প্রায় ২৫টির মতো অসংরক্ষিত আসন ছিল। ফলে এ বার আসন বাড়লেও গতবারের চেয়ে ১০টির মতো অসংরক্ষিত আসন কমে গিয়েছে। যথাযথ প্রার্থী মেলা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। জেলা পরিষদের মাত্র কয়েকটি আসনেই যদি এই অবস্থা হয় তা হলে পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনগুলিতে যথাযথ প্রার্থী দিতে পারা যাবে কি না উঠেছে সে প্রশ্নও।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৫২টি। ২০১৩ সালের খসড়া তালিকায় সেই আসনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭টি। যার মধ্যে কেবল মাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা হল ২৮টি। বাকি ২৯টি আসনের মধ্যে তফশিলি জাতির জন্য ৯টি, ওবিসির জন্য ৫টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৫টি আসন রয়েছে অসংরক্ষিত সাধারণ নির্বাচনের জন্য। তা নিয়ে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
এমনিতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ভাল ফল করলেও জেলা পরিষদ দখলে রাখে বামেরা। তাদের দখলে ছিল ২৭টি আসন। তৃণমূল, কংগ্রেস মিলিয়ে বিরোধীদের ছিল ২৪টি আসন। পরবর্তীকালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর জনপ্রতিনিধির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থায়ী সমিতি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে কাজকর্ম শিকেয় ওঠে। এর পরে মাস ছয়েক আগে রাজ্য সরকার জেলা পরিষেদের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে জেলাশাসককে প্রশাসক হিসাবে কার্যভার দেয়। তারপর থেকে জেলা প্রশাসনই জেলা পরিষদের দায়িত্বভার সামলেছে।
এই অবস্থায় জেলা পরিষদে হাবরা, ব্যারাকপুর, বসিরহাট, হাসনাবাদ ও হাড়োয়ার মতো এলাকায় ৬টি আসন বাড়ানো হলেও অসংরক্ষিত আসন সংখ্যা কমে গিয়েছে। জেলা সভাধিপতি (সিপিএম) ভরত দাস বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলা পরিষদের খসড়ায় ১৫টি আসন অসংরক্ষিত রয়েছে। গতবারের চেয়ে ১০টির মতো আসন কমেছে। এই ঘটনাকে কী ভাবে মোকাবিলা করব তার পরিকল্পনা হচ্ছে।”
এ দিকে, এই সিদ্ধান্তকে ‘প্রলাপ’ বলে সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দলের জেলা সভাপতি দেবী ঘোষাল বলেন, “এক তরফা একটি খসড়া সবে আমরা হাতে পেয়েছি। মাত্র ১৫টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এগুলি পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। গোটা রাজ্যে সমস্ত জেলা পরিষদের এই সংরক্ষণ নিয়ে আমরা আন্দোলন করব। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।”
এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। সেই মতো আসন সংরক্ষিত হয়েছে। প্রার্থী দিতে পারা যাবে কিনা সে কথা বলার সময় আসেনি।”
তবে, প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্যা হতে পারে তা মানছে সব রাজনৈতিক দলই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.