|
|
|
|
তমলুকে ভাঙন রোধে প্রকল্প
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রূপনারায়ণের ভাঙন রোধে তমলুকে প্রায় ৩০ কোটি টাকার কাজ শুরু করতে চলেছে সেচ দফতর।
রূপনারায়ণের ভাঙন পরিদর্শনে শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের নবনিযুক্ত সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী-সহ সেচ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তমলুক শহরের দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া এলাকা ঘুরে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা। এর পর তমলুক পুরসভা অফিসে বৈঠক করেন সকলে। তমলুকের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘শহর সংলগ্ন রূপনারায়ণের চর এলাকায় ভাঙন রুখতে নতুন বাঁধ তৈরি-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য ২৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এই প্রকল্প অনুমোদন করেছে। শীঘ্রই ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজ শুরু হবে। বর্ষার আগেই কাজ করে ফেলা হবে।” |
চর এলাকায় ভাঙন।—নিজস্ব চিত্র। |
জেলা সদর তমলুক শহরের পূর্ব দিকে রূপনারায়ণ নদীর চর এলাকায় গত দু’বছর ধরে ব্যাপক ভাঙন চলছে। ভাঙনের কবলে শহরের ১, ১৪ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসবাড়ি, উত্তর ও দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া, চককামিনা প্রভৃতি এলাকার প্রচুর চাষজমি ও প্রায় ২৫টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি বলেন, “ভাঙন তীব্র হওয়ায় শহরের চর এলাকার চাষ জমি ও বেশ কিছু বসতবাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ভাঙন রোধের জন্য আমরা জেলা ও রাজ্য সেচ দফতর, বিধায়ক, সাংসদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্যও আবেদন জানিয়েছি।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙন রোধের জন্য প্রথমে জেলা সেচ দফতর প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকার প্রকল্প নেয়। ২০১১ সালের মে মাসে ওই টাকায় বাঁধের বেশ কিছু অংশ মেরামত করা হয়। কাঠ, বাঁশের খাঁচা দিয়ে বেশ কয়েকটি স্পার-ও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ওই কাজ শেষ হওয়ার কয়েকমাস পরেই ভরা বর্ষায় বাঁধের মেরামত করা অংশ ও স্পার রূপনারায়ণে তলিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর হস্তক্ষেপে কয়েক মাস আগে রাজ্য সেচ দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রূপনারায়ণের ভাঙন পরিদর্শনে আসেন। এরপরই তমলুক শহরে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সেচ দফতর। |
|
|
|
|
|