|
|
|
|
মাঠ নিয়ে চাপানউতোর |
সমস্যায় ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
‘ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলা’ কোথায় হবে তা নিয়ে সমস্যায় জেরবার মেলা কমিটি থেকে প্রশাসন।
আগামী ১২ জানুয়ারি ২৪তম ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলা শুরু হওয়ার কথা। গত দুই বছর বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠে হলেও তার আগে এই মেলা হয়ে এসেছে ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। কিন্তু খেলা ছাড়া অন্য কোনও বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার করা যাবে নাএই শর্তে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ও ক্রীড়া দফতর যৌথ ভাবে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচে স্টেডিয়ামের মাঠটি সংস্কার করেছে। এলাকাবাসীও ওই মাঠে মেলা হোকএমনটা চান না। আবার বিদ্যাসাগর স্কুল মাঠও এই মুহূর্তে মেলার পক্ষে অনুপযুক্ত। ফলে ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলা কোথায় হবে তা নিয়ে সমস্যায় পড়েছে মেলা কমিটি। পদাধিকারবলে ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী মেলা কমিটি এবং স্টেডিয়াম কমিটির সভাপতি। তিনি বলেন, “একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। সবাইকে নিয়ে বসে আলোচনা না করে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।”
বছরভর এই ঘাটাল মেলার অপেক্ষায় থাকেন শহরবাসী। সংলগ্ন গ্রাম এমনকী মহকুমার অন্য ব্লক থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান এই মেলায়। গত দু’বছর বাদ দিলে বাকি ২২ বছর ঘাটাল কলেজ মাঠ তথা অরবিন্দ স্টেডিয়ামেই মেলা হয়েছে। মেলা শেষে মেলা কমিটি মাঠটি সংস্কারের জন্য স্টেডিয়াম কমিটিকে প্রয়োজনীয় টাকা দিত। |
ঘাটাল স্টেডিয়ামের মাঠে চলছে খেলা।—নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু সংস্কারের পর স্টেডিয়াম কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খেলা ছাড়া আর অন্য কোনও প্রয়োজনে মাঠ ব্যবহার হবে না। সেই মতো গত বছর ঘাটাল বিদ্যাসাগর মাঠে মেলা হয়। কিন্তু এ বছর মেলা কমিটি ফের ওই স্টেডিয়ামেই মেলা করতে চায়। মেলা কমিটির পক্ষে অসীম দাস বলেন, “আমরা আবেদন করেছি। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।”
আবেদন পেয়েছেন জানিয়ে স্টেডিয়াম কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ আধিকারী বলেন, “আমি যা জানানোর সব মহকুমাশাসককে জানিয়েছি।” তবে, স্টেডিয়াম কমিটির পক্ষে ঘাটাল কলেজের অধ্যক্ষ ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা মাঠে মেলা হওয়ার পক্ষে নয়।”
এ দিকে, মেলা কমিটি ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে মেলার আয়োজন করতে চাইছে জেনে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। মাঠে যাতে মেলা না হয় তার জন্য শহরের একাধিক ক্লাব ও সংস্থা ঘাটালের মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে। স্টেডিয়াম কমিটির সম্পাদককেও মাঠ না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছে তারা। ঘাটাল অগ্রণী ক্লাবের সম্পাদক মলয় বেরা, ন্যাশানাল বয়েজ ক্লাবের সম্পাদক দীপক ঘোষাল বলেন, “মেলা হোক, তবে মাঠ নষ্ট করে নয়। স্টেডিয়ামের মাঠে প্রতি দিন বহু মানুষ শরীরচর্চা, খেলাধুলা করেন। বিকালেও তাই।” ঘাটাল মর্নিং এফসি ক্লাবের পক্ষে সুমন পান্ডার বক্তব্য, “প্রশাসনের উচিত মেলার একটা স্থায়ী জায়গা ঠিক করার। স্টেডিয়ামের মাঠে একাধিক খেলার কোচিং হয়। মেলা হলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। মেলা হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”
এ দিকে, মেলার স্থান নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় প্রস্তুতির কাজ এগোচ্ছে না। মেলা কমিটি সূত্রের খবর, প্রায় দু’মাস আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এখনও মেলা কোথায় হবে তা পরিষ্কার না হওয়ায় প্রস্তুতিতে ভাটা পড়েছে।
আলোচনাসভা। সমাজ সেবক সঙ্ঘ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী জাতীয় আলোচনাসভা শেষ হল রবিবার। শনিবার নারায়ণগড় থানার বিদিশায় আয়োজিত এই শিবির উদ্বোধন করেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য স্বপনকুমার প্রামাণিক। ‘আদিবাসী ও তাঁদের পরিবেশ সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক আলোচনায় স্বাগত ভাষণ দেন আয়োজক সংস্থার সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপকুমার ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন খড়্গপুর আইআইটির অধ্যাপক হরেরাম তিওয়ারি, সুহৃদ ভৌমিক প্রমুখ। |
|
|
|
|
|