মেলা বসেছে শুক্রবারে।
পদ্মাপারে অবশ্য নয়, তা বসেছে দামোদরের তীরে। শান্ত দামোদরের চরে মনকাড়া পরিবেশে জমে উঠেছে সে মেলা।
আমতার রসপুর হাইস্কুল মাঠে মেলার উদ্বোধন হয়েছে গত ৭ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে কচিকাঁচাদের হৈ-হুল্লোড়, পসরা সাজিয়ে বসা সন্তুষ্ট দোকানির হাসিমুখ, নদীবাঁধ থেকে চরের দিকে আসা অবিরাম জনস্রোত মেলাকে করেছে হরেক কিসিমের মানুষের মিলন ক্ষেত্র।
মেলার উদ্যোক্তা স্থানীয় কলিকাতা গ্রামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মেলা উপলক্ষে প্রতি দিন রয়েছে নানা অনুষ্ঠান। এক দিকে, যেমন রয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, আধুনিক গান, অন্য দিকে তেমনি আছে বাউল, ছৌ নাচ, যাত্রার মতো গ্রামীণ বাংলার লোক সংস্কৃতি। এ ছাড়াও আয়োজন করা হয়েছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, হাওড়া জেলা বিষয়ক প্রশ্নোত্তর ইত্যাদি। ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। |
মেলায় আছে ৩০টি স্টল। চলছে নানা প্রদর্শনী। ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের স্টলে মূর্তি ও মডেলের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে মানুষ এবং জীবজগতের বিবর্তনের কথা। এ ছাড়াও স্টল করেছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর, বন দফতর, কৃষি দফতর, জেলা শিল্পকেন্দ্র-সহ বেশ কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠী। বাল্য-বিবাহ, শিশু ও নারী পাচার প্রথা প্রতিরোধ নিয়ে আছে আলোচনাসভাও।
এই এলাকা কার্যত ছোট পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মেলা দেখতে হাওড়া ছাড়াও হুগলি এবং দুই মেদিনীপুর থেকে বহু মানুষ আসেন। রসপুরের সন্নিহিত গ্রামগুলির পরিবারে হাজির হন আত্মীয়-স্বজন। উদ্যোক্তাদের তরফে তপনকুমার মণ্ডল এবং মুস্তাক আলি মণ্ডল বলেন, “প্রায় ছ’মাস আগে থেকে মেলার আয়োজন চলে। হাজার হাজার মানুষের হাসিমুখ দেখতে পাব বলে প্রতি বছর আমরা এই মেলার আয়োজন করি।” প্রসঙ্গত, মেলা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। |