কাজে পুনর্বহালের দাবিতে ভদ্রেশ্বরে অনশনে শ্রমিকেরা
ফের শ্রমিক অসন্তোষ ভদ্রেশ্বরের বিঘাটির রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানায়।
মালিকপক্ষ কাজে যোগ দিতে দিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে শনিবার থেকে কারখানার গেটের সামনে অনশন শুরু করেছেন ১১ জন শ্রমিক। রবিবারেও অনশন চলে। তবে, এ জন্য উৎপাদন ব্যাহত হয়নি। অনশনকারীদের দাবি, মালিকপক্ষ কাজে না নেওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। এ নিয়ে ওই কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব অগ্রবাল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমি এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলব না।”
বেসরকারি ওই কারখানায় মোট ১০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। সকলেই অস্থায়ী। কম উৎপাদনের অজুহাতে দিন কয়েক আগে দু’দফায় তাঁদের ৩১ জনকে মালিকপক্ষ ছাঁটাই করে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। তা ছাড়াও, কিছু শ্রমিকের নানা সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এ নিয়ে আন্দোলনে নামে ওই কারখানার সংগ্রামী শ্রমিক সংগঠন। শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, ৩১ জনকে পুনর্বহাল এবং তাঁদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেলের পর ধর্নায় বসেন শ্রমিকেরা। কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার চন্দননগরের সহকারী শ্রম কমিশনার কালিদাস দত্তের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে মিলিত হন কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। বৈঠকে ঠিক হয়, ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের প্রত্যেককেই ফের কাজে নেওয়া হবে। শ্রমিকদের পরিচয়পত্র তৈরি করারও প্রতিশ্রুতি দেয় মালিকপক্ষ। শুক্রবার ওই কারখানায় স্বাভাবিক ছন্দে কাজ হলেও শনিবার ওই ৩১ জন শ্রমিকের মধ্যে ১১ জন কারখানায় গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের কাজে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মালিকপক্ষ। তার পরেই তাঁরা অনশনে বসেন।
কারখানার সংগ্রামী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আভাস মুন্সি বলেন, “কর্তৃপক্ষের স্বৈরাচারের প্রতিবাদে ১১ জন শ্রমিক অনশন-আন্দোলনে নেমেছেন। কর্তৃপক্ষ কম শ্রমিক দিয়ে বেশি উৎপাদনের নীতি নিয়েছেন। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। ১১ জন শ্রমিককে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” চন্দননগরের উপ-শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, “কয়েক দিনের মধ্যেই কারখানার মালিকপক্ষকে শ্রম দফতরে ডাকা হবে। আমরা ফোনে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করতে।”
বাসে পিষ্ট প্রৌঢ়। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ের। ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে কাকদ্বীপের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে কাশীনগর মোড়ে। পুলিশ জানায়, যাদব মাইতি (৭৬) নামে ওই প্রৌঢ় পাথরপ্রতিমার বুড়াবুড়িরতটের বাসিন্দা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.