|
|
|
|
ইয়েদুরাপ্পার পাশে ১৩ বিধায়ক, সঙ্কটে সরকার |
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
বি এস ইয়েদুরাপ্পার নতুন দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুরুতেই বিপাকে পড়ল কর্নাটক সরকার। দলের নির্দেশকে উপেক্ষা করে প্রকাশ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন ১৩ জন বিজেপি বিধায়ক। ফলে, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেট্টারের সরকার আর আদৌ সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
গত বছরের জুলাই মাসে বেআইনি খনি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পাকে সরানো নিয়ে বিজেপি-তে টানাপোড়েন শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্বের চাপে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেও তখন থেকেই ধীরে ধীরে বিদ্রোহের পথে হাঁটতে শুরু করেন লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের এই প্রভাবশালী নেতা।
আজ ইয়েদুরাপ্পার নতুন কর্নাটক জনতা পার্টির সভায় কোনও বিধায়ক বা সাংসদ যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, ১৩ জন বিধায়ক সরাসরি সেই নির্দেশ অমান্য করায় বিজেপি নেতৃত্ব যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়লেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ বি জে পুট্টাস্বামীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়েছেন সেট্টার। সাসপেন্ড করা হয়েছে সাংসদ জি এস বাসবরাজুকেও। ইয়েদুরাপ্পার বক্তব্য, বেছে বেছে নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বরং বিধানসভা ভেঙে ভোটে যান সেট্টার। তাতেই প্রমাণ হয়ে যাবে, কর্নাটকের মানুষ কী চান।
কর্নাটকের হাভেরিতে আয়োজিত এক বিরাট জনসভায় আজ নতুন দলের সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন ইয়েদুরাপ্পা। বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে আঞ্চলিক দলের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কর্নাটক জনতা পার্টি গঠনের যথেষ্ট যৌক্তিকতা আছে।
আজ সকালে ইয়েদুরাপ্পা সমর্থকদের জন্য একটি প্রাতরাশ বৈঠকের আয়োজন করেন বিধায়ক শিবরাজ সজ্জন। সেখানেও যোগ দেন ২৮ জন বিজেপি বিধায়ক ও চার জন সাংসদ। তবে কর্নাটক জনতা পার্টি সূত্রে খবর, অন্তত ৪০ জন বিধায়ক আসবেন বলে ভেবেছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। তাই তিনি কিছুটা হলেও হতাশ। তবে জগদীশ সেট্টারের দাবি, এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ তাঁর সরকার। যাঁরা ইয়েদুরাপ্পার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২২৪ জন সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি-র ১১৮, কংগ্রেসের ৭১, জে ডি (এস)-এর ২৬ জন ছাড়াও সাত জন নির্দল সদস্য রয়েছেন। দু’টি আসন আপাতত ফাঁকা। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই সুযোগে ঘোলাজলে মাছ ধরতে নামতে পারে কংগ্রেস। তাই কর্নাটক রাজনীতি কোন পথে যাবে তা নিয়ে উদ্বেগেই রইল বিজেপি। |
|
|
|
|
|