টুকরো খবর
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা প্রদ্যোতের
বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ত্রিপুরায় কংগ্রেস বড়সড় ধাক্কা খেল। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মহারাজা প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মণ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে প্রদ্যোৎ কিশোর বলেন, ‘‘প্রদেশ সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।’’ প্রদেশ সভাপতি তা গ্রহণ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি। প্রদ্যোৎ কিশোরের বাবা মহারাজা কীরিটবিক্রম এবং মা বিভুকুমারীও কংগ্রেসের সাংসদ এবং রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। পদত্যাগ করার কারণ স্পষ্ট করে উল্লেখ না করলেও প্রদ্যোৎবাবু জানান, ‘‘বাবা-মা আজীবন কংগ্রেস করেছেন। ছিলেন বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ। আমিও কংগ্রেস অন্তপ্রাণ। কিন্তু বতর্র্মান প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে আমি কোনও পদে থাকতে চাই না। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই আমার সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা যথাযথ নয়।” কোনও উঁচু পদ বা বিধায়কের মতো ক্ষমতা পেতেও যে তিনি আগ্রহী নন, তা জানিয়ে বলেন, “দলে এসেছি শুধু ত্রিপুরার মানুষের সেবায় কিছু করার মানসিকতা নিয়ে।” তাই পদ ছাড়লেও দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার কোনও ভাবনা তাঁর নেই বলেও জানিয়েছেন প্রদ্যোৎবাবু। তবে দলের প্রার্থী হিসেবে ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটেও যে দাঁড়াতে চান না, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট আসন্ন। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে প্রদ্যোৎবাবুর পদত্যাগের কারণ হিসেবে দলের একাংশের ধারণা, আইএনপিটি’র সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা দ্রুত মীমাংসায় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই তাঁর এটি রাজনৈতিক কৌশল। কারণ, প্রদ্যোৎবাবু কয়েক মাস আগেই আইএনপিটি’র একটি কেন্দ্রীয় সমাবেশে ঘোষণা করেছিলেন, আইএনপিটি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে আসন্ন বিধানসভা ভোটে লড়বে। অথচ, আসন সমঝোতা নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় জোটের সম্ভাবনা ক্রমশই ‘ক্ষীণ’ হয়ে উঠছে। রাজ্যের উপজাতি সম্প্রদায়ের কাছে রাজ পরিবারের ‘গ্রহণযোগ্যতা’ কমার আশঙ্কাও রয়েছে। রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্বের অন্য একাংশের ধারণা, দলের নীতি নির্ধারণ পদ্ধতিতে প্রদ্যোৎবাবু অসন্তুষ্ট ছিলেন। প্রতিবাদ করেও লাভ না হওয়ায় পদত্যাগ করলেন তিনি। প্রদ্যোৎবাবুর ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক তাপস দে অবশ্য জানিয়েছেন দিন কয়েক আগে তাঁর মায়ের সম্পর্কে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সমীররঞ্জন বর্মণ এক কর্মিসভায় আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করায় পদত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন প্রদ্যোৎবাবু।

গাড়ি খালে, মৃত পাঁচ
জামতাড়ায় সেতুর রেলিং ভেঙে কাল রাতে খালে পড়ে যায় বরযাত্রী বোঝাই একটি গাড়ি। এই দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের তালিকায় এক তরুণী গৃহবধূ ও তাঁর ন’মাসের শিশুপুত্র ছাড়াও রয়েছেন একই পরিবারে আরও তিনজন। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাড়ির চালক-সহ আরও চার বরযাত্রী। মৃত ও জখমেরা সবই প্রায় একই পরিবারের বা ওই পরিবারের আত্মীয়। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কাল রাত পৌনে দশটা নাগাদ, জামতাড়া জেলার কুন্ডুহিত থানার ঘোলজোরের কাছে। বরযাত্রীদের নিয়ে গাড়িটি ঘোলজোরের কাছে ছোট্ট একটি নদীর সেতুর উপরে উঠেই নিয়ন্ত্রণ হারায়। ঘটনাস্থলেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম--মথুরা প্রসাদ ঘোষ (৫৮), আলপনা ঘোষ (৩৫), বল্লভ ঘোষ (৪০), রূপালি মণ্ডল (২৫) এবং রূালির ৯ মাসের শিশুপুত্র অভিজিৎ। পাঁচ জনই জামতাড়ার বিন্দাপাথর গ্রামের বাসিন্দা।

রাঁচিতে রমেশ
মাওবাদী প্রভাবিত সারান্ডায় উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে আজ সকালে রাঁচিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। দুপুরে রাঁচির প্রোজেক্ট বিল্ডিংয়ে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। সরকারি সূত্রের খবর, বৈঠকে ‘সারান্ডা অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের ২২৪ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্পের কাজ নিয়ে সবিস্তার পর্যালোচনা করেন জয়রাম।

বিবেক-জয়ন্তী পালনে কমিটি অরুণাচলপ্রদেশে
ভারত জাগো, বিশ্বকে আলোকিত করো। এই মন্ত্রকে সামনে রেখেই আগামী জানুয়ারি মাসে বিবেকানন্দের সার্ধ-শতবর্ষ উদ্যাপনের পরিকল্পনা করেছে অরুণাচল সরকার। উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধিকর্তা জে পাদু, সমাজকর্মী নাবাম আটুমের নেতৃত্বে এ বিষয়ে রাজ্য পর্যায়ে উদ্যাপন কমিটি গড়া হয়েছে। স্বামীজির বাণী সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আয়োজিত হবে নানা ধরনের অনুষ্ঠান। পুরো আয়োজনকে ‘যুবশক্তি’, ‘প্রবুদ্ধ ভারত’, ‘গ্রামোন্নয়ন’, ‘সম্বর্দ্ধিনী’ ও ‘অস্মিতা’ নামে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পাদু বলেন, “অরুণাচলের যুবসমাজ এখন এক পরিবর্তন ও অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। অস্থির এই সময়ে বিবেকানন্দের বাণী তাদের সঠিক দিশা দেখাতে সাহায্য করবে।”

বিস্ফোরণে জখম দুই জওয়ান
মহাসমাবেশের আগের দিন বিকেলে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইম্ফল শহর। জঙ্গিদের রেখে যাওয়া গাড়ি বোমা ফেটে জখম হলেন দুই বিএসএফ জওয়ান। সোমবার হফ্তা কাংগজেইবুম এলাকায় রাজ্য কংগ্রেসের সব মন্ত্রী, বিধায়ক, পরিষদীয় নেতাদের নিয়ে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে আসতে চলেছেন রাহুল গাঁধী। স্বশাসিত জেলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত তিন হাজার প্রতিনিধিও সেই সভায় আসবেন। রাহুল আসার আগে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঢেকে দেওয়া হয়েছে শহর। কিন্তু, তার মধ্যেই, কৌব্রু লেইখা এলাকায় মারুতি ভ্যানে বিস্ফোরক রেখে যায় জঙ্গিরা। বিএসএফ-এর একটি কনভয় এলাকা পার হওয়ার সময় গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়। জখম হন দুই জওয়ান। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পরে, পুলিশ, আধা সেনা ও সেনা ইম্ফলের নিরাপত্তা আরও বাড়ায়।

মা একা দত্তক দিতে পারবেন না শিশুকে
মা নিজের ইচ্ছায় দত্তক দিতে পারবেন না তাঁর সন্তানকে। এর জন্য বাবারও অনুমতি নিতে হবে, জানাল দিল্লির এক আদালত। তাঁর ও তাঁর শিশুকন্যার ভরণপোষণের দাবি জানিয়েছিলেন বিবাহবিচ্ছিন্না এক মহিলা। সেই আবেদনকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী। মহিলাটি তাঁদের শিশুকন্যাকে দত্তক দিয়ে দিয়েছেন। বিচারক জানান, এ রকম ক্ষেত্রে দত্তক দেওয়ার ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা আছে স্বামীর। শিশুটিকে নিজের হেফাজতেও নিতে পারেন তিনি। আদালত জানায়, ‘হিন্দু দত্তক আইন’ অনুসারে নিজের ইচ্ছায় শিশুকে দত্তক দেওয়ার ক্ষমতা আছে বাবার।

বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম শিশু
বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে গরম তেলে পুড়ে জখম হল ৫ বছরের এক শিশুকন্যা। তার বাবা একটি ছোট খাবারের দোকান চালান। রবিবার ঘটনাটি ঘটে যখন তার বাবা দুই ক্রেতাকে বাকিতে খাবার দিতে অস্বীকার করেন। আগের বাকি মেটাতে বলেন তিনি। এই শুনে তাঁকে গালাগালি ও মারধর করতে শুরু করে তারা। মেয়েটি বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকে ধাক্কা মেরে ফুটন্ত তেল ভরা কড়াইয়ের দিকে ঠেলে দেয় তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।

আত্মঘাতী সেনা
১৫ দিনের মধ্যেই ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল জোধপুর বায়ুসেনা ঘাঁটির এক অফিসারের। কর্পোরাল রাহুল সিংহের ঝুলন্ত দেহ আজ ব্যারাকে তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি জোধপুরে মৃত্যু হয় কলকাতার বাসিন্দা ২৯ বছরের ‘গ্রাউন্ড ডিউটি অফিসার’ আনন্দিতা দাসের। তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা বলেই জানিয়েছিল পুলিশ। আজ কানপুরের বাসিন্দা রাহুল সিংহের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরেও আত্মহত্যার তত্ত্বই প্রচার করেছে পুলিশ।

পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু
পথ দুর্ঘটনায় এক মহিলা-সহ চারজনের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপাড়া জেলায়। পুলিশ জানায়, আজ সকালে, বড়বোলা এলাকায় ট্রাক ও একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান সফিয়া বেগম, সৈয়দ জামান, ফিরোজউদ্দিন আহমেদ ও সইফুল আহমদ। জখম যাত্রীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ফতোয়া-বিতর্ক
দারুল উলুমের ফতোয়া বাধ্যতামূলক নয়, মত বিশেষজ্ঞদের। বক্তব্য, কোনও ফতোয়া বিশেষ কিছু পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষণা করে দারুল উলুম। এটি কোনও নির্দেশ নয়। ফলে তা প্রত্যেক মুসলিমকে মানতেই হবে, এমনটা নয়। মহিলাদের উল্কি করানো নিয়ে যে ফতোয়া দিয়েছিল দারুল উলুম, তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মত বিশেষজ্ঞদের।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.