|
|
|
|
জেডিইউ ছেড়ে নতুন দল গড়তে যাচ্ছেন উপেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-এর রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়া দল থেকে ইস্তফা দিলেন। আজ দলের সদস্যপদে থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যসভার পদ থেকেও তিনি সরে দাঁড়াবেন। তিনি নতুন দল গড়তে চলেছেন এমন আভাসও দিয়েছেন উপেন্দ্র।
তবে জেডিইউ নেতৃত্ব উপেন্দ্রর ইস্তফাকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। জেডিইউ-এর মুখপাত্র নীরজ কুমার আজ বলেন, “উপেন্দ্র এফডিআই নিয়ে মোটেও দলের নীতি মানেননি। সংসদে এফডিআই নিয়ে ভোটাভুটির সময় ভোট দিয়েছেন ইউপিএ-র সমর্থনে। এ ছাড়া আগেও এই নেতা দলের স্বার্থ না দেখে লালুপ্রসাদের হয়ে কাজ করেছিলেন। এ সব কারণে উপেন্দ্রকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়াই হয়েছিল। দলবিরোধী কাজের জন্য জেডিইউ যে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তা বুঝতে পেরেই আগেভাগে থেকে ইস্তফা দিয়ে ‘শহিদ’ হতে চেয়েছেন উপেন্দ্র। নীতীশ কুমারই তাঁকে সাংসদ বানিয়েছেন। কিন্তু অকৃতজ্ঞ ওই নেতা এখন নীতীশেরই সমালোচনায় নেমেছেন।” নীরজ কুমারের মন্তব্য “সুবিধাবাদী এই নেতা অন্য কোনও সুবিধার কথা ভেবে আবার হয়তো কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাত গড়তে নেমেছেন। ”
উপেন্দ্র বিহারে রাবড়ী দেবীর মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় জেডিইউ-এর হয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরে তাঁকে রাজ্যসভার সদস্য করা হয়। এ দিন ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসেবে উপেন্দ্র জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমার গরিব মানুষের জন্য যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করতে পারছেন না। নীতীশ কুমার গণতন্ত্র মানেন না। তিনি কারও কথা শুনতে চান না।”
উপেন্দ্রর আরও অভিযোগ, “নীতীশ কুমার দলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন।” এ সবের প্রতিবাদে এবং মানুষের চাহিদা মেনে আগামী ৩ মার্চ তিনি গাঁধী ময়দানে সভা করবেন। সেখানে তিনি তাঁর নিজের দলের নাম ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিহারের মানুষ বিকল্প চাইছেন। আমি চাই সম্মানের সঙ্গে বিহারের মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার। যুবকদের রোজগার।” তিনি দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে জহনাবাদের প্রাক্তন সাংসদ অরুণ কুমার-সহ অনেক নেতা আছেন।
তেড়ে এল গন্ডার। গুয়াহাটির সংবাদদাতা জানান, গন্ডারের ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন মুম্বইয়ের অভিনেত্রী প্রগতি মেহরা। আজ সকালে কোহরা রেঞ্জে জিপ সাফারিতে গিয়েছিলেন প্রগতি ও তার সঙ্গীরা। প্রগতি দেবী জানান, পথে শাবক-সহ একটি স্ত্রী গন্ডারকে দেখতে পেয়ে তাঁরা গাড়ি কাছে নিয়ে গিয়ে ছবি তুলতে থাকেন। তখনই খেপে গিয়ে মা গন্ডারটি গাড়ির দিকে ধেয়ে আসে। কিছুক্ষণ পরে জিপচালকের দক্ষতায় বেঁচে যান প্রগতি দেবীরা। |
|
|
|
|
|