নতুন টার্মিনালের পরে নতুন কন্ট্রোল টাওয়ার পাচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দর। কেন্দ্রের কাছ থেকে নতুন কন্ট্রোল টাওয়ার তৈরির অনুমোদন মিলেছে। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বেদপ্রকাশ অগ্রবাল রবিবার কলকাতায় জানান, নতুন টার্মিনালের কাজ শেষ হয়ে গেলেই কন্ট্রোল টাওয়ারের কাজে হাত দেওয়া হবে।
প্রফুল্ল পটেল বিমানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালে কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছিল। তখনই ঠিক হয়, নতুন টার্মিনালের পাশে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে নতুন কন্ট্রোল টাওয়ার গড়া হবে। বিমানের ওঠানামা যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, সেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর অফিসারেরা ওই টাওয়ারে বসে নজরদারি চালান বিমানের উপরে। টাওয়ার বিল্ডিং-এর মাথায় কাচের ঘর থাকে। সেখান থেকে দু’টি রানওয়ে পরিষ্কার দেখার কথা কন্ট্রোলারদের। পার্কিং-বে এবং বিভিন্ন ট্যাক্সি-ওয়েতেও বিমানের গতিবিধির উপরে নজর রাখেন তাঁরা।
কলকাতায় নতুন টার্মিনাল তৈরির জন্য ১৯৪২ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। কাজে দেরি হওয়ায় সেই খরচ বেড়ে হয় ২৩২৫ কোটি। বছর দুয়েক আগে বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন, নতুন কন্ট্রোল টাওয়ার তৈরি না-করে ৩০০ কোটি টাকা ঢালা হবে নতুন টার্মিনাল প্রকল্পে। বাতিল হয়ে যায় কন্ট্রোল টাওয়ার তৈরির পরিকল্পনা। কিন্তু কলকাতা থেকে নতুন টাওয়ারের জন্য ক্রমাগত দাবি জানাতে থাকেন এটিসি অফিসারেরা।
অগ্রবাল বলেন, “৮০ মিটার উঁচু কন্ট্রোল টাওয়ার তৈরিতে খরচ ২৮০ কোটি টাকা। বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষের কাচে ঢাকা নতুন অফিসবাড়ির পাশেই হবে নতুন টাওয়ার।” এটিসি ব্যবস্থাকে আধুনিক ভাবে গড়ে তুলতে, আধুনিক যন্ত্রপাতি বসাতে আলাদা করে ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। সেই কাজ শুরু হবে পুরনো ভবনেই।
এটিসি অফিসারদের অভিযোগ, এখন যে-ন’তলা বাড়িতে বসে তাঁরা কাজ করেন, সেখানে জায়গা কম। যেখানে বসে পাঁচ জন অফিসারের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা, সেখানে ১৫ জন অফিসার কাজ করেন। এক অফিসারের কথায়, “একসঙ্গে দু’তিন জন কন্ট্রোলারের কথা শোনা যাচ্ছে বলে পাইলটেরা অভিযোগ জানান।” ফলে ভুলভ্রান্তির আশঙ্কা থাকে। রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ায় কন্ট্রোলারেরা এখনকার টাওয়ার থেকে দু’দিকের রানওয়ের পুরো দেখতে পান না। এটিসি অফিসারদের মতে, নতুন ভবন এমন জায়গায় তৈরি করা উচিত, যার মাথা থেকে দু’দিকের রানওয়ে পরিষ্কার দেখা যাবে। |