নলহাটি বিধানসভা এলাকার চারটি স্কুলের নির্বাচনের তিনটিতেই হারল তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। দু’টি স্কুলে জয়ী হয়েছেন বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা। অন্য দিকে, কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা একটিতে ও অন্যটিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট।
নলহাটি থানার পোধরা মহম্মদ হোসেন জুনিয়র হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিন জন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী। দখলে থাকা গোঁসাইপুর হাইস্কুলে ৫-১-এ জেতে বামেরা। এখানেও লড়াই ছিল ত্রিমুখী। আর কংগ্রেস-তৃণমূল জোটকে ২-১-এ হারিয়ে পরিচালন সমিতি দখল করে বাম প্রগতিশীল প্রার্থীরা। অন্য দিকে, বামেদের হাতে থাকা আমাইপুর মিলনী হাই মাদ্রাসার ৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। পোধরার স্কুলে জয়ী হয়ে নলহাটি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কংগ্রেসের মাধবেন্দ্র ঘোষাল বলেন, “ওই স্কুলের অভিভাবকেরা যে অঞ্চলের সেখানে তৃণমূলের প্রভাবই বেশি। সেখান থেকে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের এই জয় আমাদের অনেক উজ্জীবিত করবে।” সিপিএমের নলহাটি জোনাল সম্পাদক সনৎ প্রামাণিক বলেন, “মানুষ আমাদের পাশে ফিরছেন।” অন্য দিকে, ফল খতিয়ে দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
অন্য দিকে, বর্ধমানের কেতুগ্রামের বিল্লেশ্বর গার্লস হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট সমর্থিত প্রার্থীদের হারালেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। ওই ভোটে দু’টি মহিলা আসন-সহ ৬টি আসনের সব ক’টিতেই জিতেছেন সিপিএম সমর্থিতরা। এ দিন জয়ের পরে সিপিএম নেতাদের দাবি, তৃণমূল বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার জন্যই এমন পরিস্থিতি। |