দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে রামপুরহাট থানার শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে এখনও অচলাবস্থা কাটল না।
রবিবারও ঠাকুরপুরা-আম্বা মোড় রাস্তায় ময়ূরেশ্বর থানার গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ অবরোধ করেন। এর ফলে কোনও লরি বা ট্রাক পাথর বোঝাই করতে যেতে পারেনি। অচলাবস্থা কাটাতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে শালবাদরা স্টোন মাইন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সহ-সম্পাদক সন্তোষ গুপ্ত বলেন, “প্রশাসন এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নেবে তাই মেনে চলার চেষ্টা করব।”
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সোঁয়াসা ও গোয়ালা গ্রামের মাঝে ধানু হাঁসদা (৪৫) নামে ময়ূরেশ্বর থানার গোয়ালা গ্রামের ওই ব্যসিন্দাকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। ক্ষতিপূরণের দাবিতে পরের দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে গোয়ালা গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় ঠাকুরপুরা-আম্বা মোড় রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। অবরোধকারীরা দাবি করেছিলেন, পাথর বোঝাই লরির ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাঁরা পাঁচ লক্ষাধিক টাকা চেয়েছিলেন বলে দাবি পাথর মালিকদের।
গোয়ালা গ্রামের বাসিন্দা ঠাকুর হাঁসদা, বাজের মুর্মুদের দাবি, “আমরা জানি পাথর বোঝাই লরি বা ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হলে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আমরা পাঁচ লক্ষাধিক টাকা চাইনি। এর জন্য আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হব না।”
ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের বিডিও বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, “উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে সমাধান সূত্রে বের করার জন্য আজ, সোমবার বৈঠক ডাকা হয়েছে।” |