কাটোয়ায় ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন বা এনটিপিসি-র প্রস্তাবিত ১৬০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প যে জমি-জট এবং কয়লা জোগানের সমস্যায় জেরবার, এ বার সেই প্রসঙ্গ উঠল আইআইটি-র প্রাক্তনীদের সম্মেলনেও। এবং প্রসঙ্গটি তুললেন এনটিপিসি-র চেয়ারম্যান অরূপ রায়চৌধুরী। শনিবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে ওই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের কাছে আরও ২৫০-৩০০ একর জমি চেয়েছিলেন এনটিপিসি- প্রধান। রবিবার কলকাতায় আইআইটি-র প্রাক্তনীদের সম্মেলন ‘প্যানআইআইটি গ্লোবাল’-এ একই আবেদন জানান তিনি।
কাঁচামাল হিসেবে কয়লার জোগান প্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, “ওই প্রকল্পে বছরে ৭৫ লক্ষ টন কয়লা লাগবে। আমাদের প্রয়োজন একটি কয়লা ব্লক। অথচ ধামাগড়িয়ার যে-সব খনি আমাদের দেওয়ার কথা ছিল, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সেগুলো কেন্দ্রকে হস্তান্তর করে দিয়েছে।” তবে এই মুহূর্তে প্রকল্পটি ভিন্ রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা তাঁরা ভাবছেন না বলে জানান অরূপবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার এবং এনটিপিসি দু’পক্ষই প্রকল্পটি নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী।” এর আগে জমি-জটে ওড়িশা থেকে একই ধরনের একটি
প্রকল্প মধ্যপ্রদেশে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল এনটিপিসি।
প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ১২০০ একর জমির মধ্যে রাজ্য ওই সংস্থাকে দিয়েছে ৫৫০ একর। এই পরিপ্রেক্ষিতে অরূপবাবু জানান, তাঁদের সামনে দু’টি রাস্তা খোলা আছে।
১) প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ৮০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা।
২) প্রকল্পটি ভেঙে দু’টি এলাকায় গড়ে তোলা।
এনটিপিসি-র ৯.৫ শতাংশ শেয়ার বিলগ্নিকরণের বিষয়টি আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিলগ্নিকরণ দফতর সরকারের সামনে উপস্থাপন করবে বলে জানান অরূপবাবু। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফার এই শেয়ার ইস্যুতে ভাল সাড়া মিলবে বলে তাঁদের আশা। মার্চের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। বিলগ্নিকরণের পরে সংস্থায় কেন্দ্রের মালিকানা কমে হবে ৭৫ শতাংশ। |