হুল্লোড় |
কাট্টি কাট্টি ভাব ভাব
‘বাপি বাড়ি যা’র প্রিমিয়ারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণ ঘোষের ঝগড়া মিটল। সাক্ষী ইন্দ্রনীল রায় |
‘গানের ওপারে’ থেকেই ঝামেলার শুরু।
‘গানের ওপারে’ দিয়েই ঝামেলা শেষ।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণ ঘোষ। টেলিভিশন সিরিয়াল ‘গানের ওপারে’ নিয়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যে প্রায় দু’ বছর আগে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তার পর দু’ জনেই কাগজে বিবৃতি দেন। দু’জনেই প্রিমিয়ার, পার্টিতে একে অপরকে এড়িয়ে এড়িয়ে যান, দু’জনেই কাছের লোকের কাছে বলেন তাঁদের মনের কথা।
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার সাউথ সিটি মলের ফেমে ছিল ‘বাপি বাড়ি যা’ ছবির প্রিমিয়ার। |
পূর্বরাগ |
সন্ধে ৭.৩৬: সিনেমা সবে শুরু। ফেমের লাউঞ্জে
হঠাৎ দেখা দু’জনের। ভেঙ্কটেশের মহেন্দ্র সোনিও
আড় চোখে দেখছেন দুজনকে |
৭.৪১: উঠে দাঁড়ালেন প্রসেনজিৎ।
দু’জনে সরে গিয়ে আলাদা কথা বললেন
নিজেদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ |
|
সিনেমার প্রযোজক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং মুখ্য চরিত্রে যাঁরা অভিনয় করেছেন তাঁরা সবাই ‘গানের ওপারে’র শিল্পী। প্রিমিয়ারে ঋতুপর্ণ ঘোষ আসবেন কি না তাই নিয়ে ছিল চূড়ান্ত জল্পনা।
ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজে এস এম এস করে ঋতুপর্ণ ঘোষকে নেমন্তন্ন করেন।
প্রসেনজিতের এই নেমন্তন্ন ফিরিয়ে দেননি ঋতুপর্ণ ঘোষ।
প্রিমিয়ারে প্রসেনজিতের আগে তিনি এলেন। সবার সঙ্গে গল্প করলেন। তার পর বাকি গেস্টরা অডিটোরিয়ামে সিনেমা দেখতে চলে যাওয়ার পর দু’জনের কথা হল। সঙ্গে ছিলেন ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের মহেন্দ্র সোনি আর শ্রীকান্ত মোহতা। |
৭.৪৪: যোগ দিলেন ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের শ্রীকান্ত মোহতা।
বোঝালেন দু’জনের ঝামেলা মেটানো কেন দরকার ইন্ডাস্ট্রির জন্য |
প্রথমেই বরফ গলেনি কিন্তু। যথেষ্ট চাপা টেনশন তখন ফেমের পোর্টিকোতে। তার পর ধীরে ধীরে দু’জনে আলাদা কথা বললেন।
এর মধ্যে শ্রীকান্ত মোহতাও ঢুকলেন আলোচনায়। দু’জনকেই বোঝালেন।
শ্রীকান্তের কথা শেষ হওয়ার আগেই ঋতুপর্ণ ঘোষ জড়িয়ে ধরলেন প্রসেনজিৎকে।
শেষ হল এক অধ্যায়ের।
স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল টালিগঞ্জ।
তার পর ভেলপুরি, কোল্ড ড্রিংকস খেতে খেতে চলল আলোচনা। খুনসুটি করে ঋতুপর্ণ প্রসেনজিৎকে মারতেও গেলেন। |
মিটমাট |
৭.৪৯: “তুই তো আমায় ভুল বুঝিস,” বলে মজা করে
প্রসেনজিৎকে মারতে গেলেন ঋতুপর্ণ।
শ্রীকান্ত হাসতে হাসতে পিছিয়ে গেলেন |
৭.৫২: ভাব। নতুন কী কাজ করছেন তা নিয়ে কথা হল।
নিউ কাসেলে নতুন ছবির শ্যুটিংয়ের
ঘটনা ঋতুপর্ণকে বললেন প্রসেনজিৎ |
|
ফ্যাবইন্ডিয়া থেকে একটা নতুন শীতের পোশাক কিনে এনেছিলেন ঋতুপর্ণ। সেটা দেখালেন প্রসেনজিৎকে। মজা করে পরিয়ে দিলেন সদ্য কেনা স্টোল মহেন্দ্র সোনির গায়ে। মধুরেণ সমাপয়েৎ হওয়াতে খুশি সব পক্ষই।
“বাচ্চাদের দুই বাবা এক হল। বাচ্চা হল ‘গানের ওপারে’র ছেলেমেয়েরা যারা ‘বাপি বাড়ি যা’তেও অভিনয় করেছেন। এক বাবা তাদের টেলিভিশনে ব্রেক দিয়েছিল। অন্য বাবা তাদের সিনেমায় ব্রেক দিল। ভাল লাগছে সব ভুল বোঝাবুঝির সমাধান হয়ে গেল ভেবে,” প্রিমিয়ারের পরের দিন বলছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। |
৭.৫৫: মিশন অ্যাকমপ্লিশড। সবার সামনে প্রসেনজিৎকে বললেন ঋতুপর্ণ,
“তুই একমাত্র সিনেমা করছিস, বাকিরা তো শুধু গান করছে।” |
এ দিকে এই প্যাচ আপ-এ যাঁদের ভূমিকা প্রবল তাঁরা অবশ্যই মহেন্দ্র সোনি আর শ্রীকান্ত মোহতা। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন তাঁরাও। “ উই আর ভেরি হ্যাপি দ্যাট দ্য প্যাচ আপ বিটুইন দিস টু জায়েন্টস অফ বেঙ্গলি ফিল্ম হ্যাপেন্ড। আমাদেরও অসুবিধে হত। কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে কোনও মতামত লাগলে আলাদা আলাদা করে বুম্বাদা আর ঋতুদার কাছে যেতে হত। দু’জনে একসঙ্গে কাজ করলে সব চেয়ে ভাল হয় বাংলা সিনেমার।
বাট গুড টু সি হ্যাপি টাইমস আর ব্যাক এগেন,” সব শেষে জানাচ্ছেন মহেন্দ্র সোনি। |
প্রণয়
৭.৪৬ |
|