|
|
|
|
|
অ্যাপস্ কী খাতির
এতদিন শোনা যেত ল্যাপটপ। এখন আপনার জীবন বদলে দিচ্ছে স্মার্টফোন।
নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখছেন বাবুল সুপ্রিয় |
|
অনেক বাবা-মাকে বলতে শুনি, “আমার ছেলে-মেয়ে সারা দিন ফোন নিয়ে বসে থাকে। কী যে হবে!”
শুনুন, যদি আপনার ছেলেমেয়ে স্মার্টফোন নিয়ে বসে থাকে তা হলে ভালই হবে।
ফোন তো আর আজকে ফোন নেই। স্মার্টফোন আসার পর ফোনের সংজ্ঞাটাই বদলে গিয়েছে।
আজকে ফোন আপনার ল্যাপটপকেই রিপ্লেস করে দিয়েছে। অনেককেই জানি যারা ল্যাপটপ আর ব্যবহারই করেন না।
ই-মেল পাঠানো হোক কী গেম খেলা কী অফিসের প্রেজেন্টেশন। ল্যাপটপ ছাড়াই চলে যাচ্ছে সবার।
অনেককে বলতে শুনি স্মার্টফোন এসে পরিবারের সঙ্গে কাটানোর সময় কমে গিয়েছে। আমার মনে হয় এই থিওরিটাও ভাঙার সময় এসেছে।
স্মার্টফোনের সৌজন্যে তো পরিবারের সঙ্গে এখন আরও বেশি সময় কাটানো যায়। বাড়ি ঢোকার আগেই শেষ ই-মেলের উত্তর দিয়ে বাড়ি ঢুকতে পারবেন।
আগে বলুন তো, কত বার বাড়ি ঢুকে ল্যাপটপ খুলে ই-মেলের জবাব দিতে হত। সেগুলো এখন ইতিহাস।
আর তা ছাড়া এই স্মার্টফোনগুলোয় আছে নানা অ্যাপলিকেশন। এগুলো ডাউনলোড করে নিলে আপনার জীবন কাটানোটাই বদলে যাবে।
আপনাদের সঙ্গে আমার ফ্যাব ১০টি অ্যাপস শেয়ার করছি। |
|
১. ড্রপ বক্স বা ডকস্ টু গো
সবে পার্টিতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছেন। ও দিকে বসের ফোন। অফিসের জরুরি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন থেকে সেলস রিপোর্ট, হাজারো ডকুমেন্টস এখনই চাই। ফোন থেকে একটা একটা করে মেল করতে তো রাত কাবার হয়ে যাবে! উপায়? ড্রপ বক্স বা ডকস্ টু গো। এই অ্যাপসগুলো সিঙ্ক করে দেবে অফিসের সঙ্গে আপনার স্মার্টফোন। যারা লেখালেখি করেন তাদের জন্যও কিন্তু খুব জরুরি এই অ্যাপস্। কোনও লেখা গাড়িতে যাওয়ার সময় নিজের স্মার্টফোনে করলে, বাড়ি এসে দেখবেন কম্পিউটারেও এসে গিয়েছে লেখাটা।
২. ফাইন্ড মাই আইফোন
হেব্বি কাজের এই অ্যাপস্। আইফোনটা আপনার যেখানেই থাকুক না কেন ফাইন্ড মাই আইফোন অ্যাপস্টি দিয়ে এক নিমেষে তার লোকেশন জেনে নিতে পারবেন। আর একটা সুবিধা হয়, ফোন হারিয়ে গেলে। আমার যেমন প্রায়ই হারিয়ে যায় ফোন, সোফার নীচে চলে যায়। তখন এই অ্যাপস্ দিয়েই তার সন্ধান পাই।
৩. গুগল ট্র্যান্সলেট
এটা পড়ে আপনি ভাবতেই পারেন, আমি হয়তো প্রোফেসর শঙ্কুর কল্পবিজ্ঞানের কোনও গল্প বলছি। আদতে কিন্তু তা মোটেই না। এই অ্যাপস্ আসলে যে কোনও ভাষা যে কোনও ভাষায় অনুবাদ করে দেবে। তাই গুগল ট্র্যান্সলেট অ্যাপস্ ফোনে থাকা মানেই, ভাষার ব্যবধানে কথোপকথনে ছেদ পড়বে না। স্প্যানিশ হোক কী জার্মান, যে কোনও ভাষা ইনপুট করলেই অন্য দিকে পেয়ে যাবেন আপনার জানা কোনও ভাষা। আবার আপনার ভাষাকেও দিব্যি ট্র্যান্সলেট করে দেবে অন্য ভাষায়। সেক্রেটারির কপাল পুড়ল বলে।
৪. রিভার্স লুক আপ
এমনটা তো প্রায়ই হয়, যে কল করছে, তার নম্বরটা ছাড়া আর কিছুই জানা নেই আপনার। তবে সে সমস্যার সমাধান খুব সহজেই সম্ভব, যদি আপনার স্মার্ট ফোনে থাকে রিভার্স লুক আপ। এই অ্যাপটি থাকলে ফোনের বিপরীতে থাকা ব্যক্তির সব তথ্যই আপনার নখদর্পণে নাম, ঠিকানা এমনকী তার লোকেশন পর্যন্ত। তবে এর থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে আবার কারও পিছু নেবেন না।
৫. এভারনোট
রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। হঠাৎ মাথায় কোনও আইডিয়া এল। কোথায় লিখে রাখবেন ভেবে চুল ছেঁড়ার দিন কিন্তু শেষ। দরকার শুধু এভারনোট। আইডিয়া যেমন টাইপ করে রাখতে পারেন, তেমনই কোনও হাতে লেখা নোটের ছবিও তুলে রাখতে পারবেন বা রেকর্ড করে রাখতে পারবেন কোনও অডিও ক্লিপ। আর এই সব তথ্য জমে থাকবে অনলাইন সার্ভারে। যখন চাইবেন কম্পিউটার বা ফোন থেকে দেখে নিতে পারবেন সেই তথ্য।
৬. মেড স্কেপ
খুব দরকারি এই অ্যাপস্। ধরুন হঠাৎ আপনার প্রেশার বেড়ে গেল, কিন্তু কী ওষুধ খাবেন জানা নেই, মেড স্কেপ সাহায্যে জেনে নিতে পারবেন সেটা। কোনও ওষুধের কম্পোজিশন বা তার সাইড এফেক্টেরও বিস্তারিত বিবরণ পাবেন এই অ্যাপসের মাধ্যমে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কী করতে হবে তারও স্টেপ বাই স্টেপ ডেমো পেয়ে যাবেন।
৭. হোয়্যার’স মাই ওয়াটার
আমার মতে সময় কাটানোর জন্য কোনও একটা গেম অ্যাপস্ ফোনে থাকাটা খুব জরুরি। আর অ্যাংরি বার্ডস তো অনেক হল। এ বার বরং চেখে দেখুন হোয়্যার’স মাই ওয়াটার। সোয়াম্পি নামের এক কুমিরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে হবে স্নান করাতে। একদম সাদামাঠা গেম প্ল্যান। কিন্তু অসাধারণ গ্রাফিক্স আর সাউন্ডট্র্যাকের দৌলতে এর মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই গেম অ্যাপস্।
৮. শাজম
হঠাৎই রেডিওতে শুনতে পেলেন একটা গান। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছেন না গানটার নাম বা গায়কের নাম। ফোনে শাজম থাকলেই কিন্তু কেল্লা ফতে। ফোনটা শুধু বাড়িয়ে দিন গানের দিকে। গানের ওয়েভফর্ম বিচার করে এই অ্যাপস্টি বলে দেবে গানটার সব তথ্য। আর কী, ডুব দিন নস্ট্যালজিয়ায়।
৯. পিকাসা বা ফোটোশপ
প্রতিদিন এত ছবি তোলা হয়! কিন্তু সব সময় যে সব ছবির কম্পোজিশন, লাইট ঠিক থাকে, তা তো নয়। তাই ছবিতে একটু টাচ আপের জন্য এই রকম একটা অ্যাপস্ ভীষণ জরুরি আপনার। পিকাসা তো আছেই বা একটু খরচ করে নিয়ে নিতে পারেন ফোটোশপের অ্যাপস্।
১০. ফ্রি অ্যাপস্ ম্যাজিক
স্বাভাবিক ভাবে আমি একেবারে ফ্রি অ্যাপস্ পছন্দ করি না। ডলারের সাইনটা দেখলেই অনেকে চমকান। আসলে কিন্তু কাজের একটা অ্যাপস্ পার্ক স্ট্রিটের রোলের থেকেও কম দামেই পাওয়া যায়। তবে যারা ফ্রি অ্যাপস্ পছন্দ করেন, তাঁরা এই অ্যাপস্টি ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রতিদিন তিনটে করে ফ্রি অ্যাপসের খবর পাবেন। |
|
|
|
|
|