|
|
|
|
পাকুড় |
খনি আন্দোলনে সফল মরান্ডি, উদ্বেগে বিজেপি-জেএমএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
পাকুড়ের খনি এলাকায় পুনর্বাসন আন্দোলনে ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম)-এর সাফল্যে অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের। বিজেপি-জেএমএমের শক্ত ঘাঁটি সাঁওতাল পরগনায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডির দল জেভিএমের সাফল্যে রাজনৈতিক ভাবেই ধাক্কা খেল সরকারে প্রধান দুই শরিক।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জেভিএমের আন্দোলনের ২২ দিনের মাথায়, গত কাল সন্ধ্যায় খনি কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসতে রাজি হন। সাঁওতাল পরগনার কমিশনার অবিনাশ কুমারের উপস্থিতিতে এই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় পাকুড়ের আমড়াপাড়ায়। আন্দোলনকারীদের তরফে বৈঠকে ছিলেন জেভিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ যাদব এবং কংগ্রেস নেতা স্টিফেন মরান্ডি। ছিলেন রাজমহল পাহাড় বাঁচাও সমিতির প্রতিনিধিরা। খনি কর্তৃপক্ষের তরফে বৈঠকে হাজির ছিলেন সংস্থার এমডি-সহ পদস্থ আধিকারিকরা।
পাকুড়ের আমড়াপাড়ায় একটি কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণের শর্ত অনুযায়ী গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের দাবিতে ১৬ নভেম্বর আন্দোলন শুরু করে জেভিএম। খনির সামনের রাস্তায় মঞ্চ তৈরি করে শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। রাস্তা অবরোধে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় খনির কাজকর্ম। বাবুলাল মরান্ডির আন্দোলনের সামিল হন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী স্টিফেন মরান্ডিও। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণের শর্ত অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের কাজ হবে। আগামী ছ’মাসের মধ্যে তৈরি করে দেওয়া হবে দু’টি স্কুল ভবন এবং একটি হাসপাতাল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে সেচ ব্যবস্থাও।
রাজ্যের প্রবীণ রাজনীতিকদের মতে, জেভিএম-এর এই সাফল্যে মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। সরকারের অস্বস্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিড়ম্বনায় পড়ল জোট সরকারে প্রধান দুই শরিক বিজেপি এবং জেএমএমও। কারণ আন্দোলনের শুরু থেকেই জেভিএম এবং দলের প্রধান বাবুলাল মরান্ডির মুন্ডুপাত করছিল বিজেপি এবং জেএমএম। মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও তাঁর দল বিজেপির মরান্ডির আন্দোলনের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন। শর্ত অনুযায়ী পুনর্বাসনের কাজ না-হওয়ার দায় চাপান বাবুলাল মরান্ডির কাঁধেই। মুখ্যমন্ত্রীর মতোই জেভিএমের আন্দোলন প্রসঙ্গে তীর্যক মন্তব্য করেন জেএমএম নেতারাও। |
|
|
|
|
|