নিজের হাতে বোনকে খুন করার কথা কবুল করেও লেশমাত্র অনুশোচনা নেই তার। বরং ঘটনার পরে পুলিশের টানা জেরায় নিলোফার-হত্যাকাণ্ডে ধৃত মেহতাব আলম জানিয়েছে, পরিকল্পনা করেই সে বোনকে খুন করেছে।
শুক্রবার সকালে নাদিয়ালের আয়ুবনগরে প্রকাশ্যে তলোয়ার দিয়ে বোন নিলোফারের মুন্ডু কেটে খুন করে মেহতাব। তার পরে সেই মুন্ডু নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। এ দিন মেহতাবকে আলিপুর আদালতে হাজির করায় পুলিশ। বিচারক সুপর্ণা রায় তাকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, সোমবার আদালতে বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে মেহতাবের।
পুলিশের দাবি, নিলোফার তাদের বাড়িতে চার বছরের মেয়েকে রেখে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই মেহতাব বোনের খোঁজ শুরু করে। তার দু’দিন পরেই সে জেনে যায়, স্বামী আকবরের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে পুরনো এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফিরোজের কাছে চলে গিয়েছে তার বোন। বৃহস্পতিবার রাতেই সে জানতে পারে, বোন আয়ুবনগরে ফিরোজের দাদার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে সে তার বোনের বরকে ফোন করে জানিয়েছিল, নিলোফারের মুন্ডু কেটে সে তাঁকে দেখিয়ে আসবে।
নিলোফারের দেহের সুরতহাল করে পুলিশ জেনেছে, মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলায় তলোয়ারের কোপ বসানোর আগে মাথায়, হাতেও কোপ বসিয়েছিল মেহতাব। শনিবার নিলোফারের দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছে। এ দিন মোমিনপুর মর্গ থেকে মেয়ের দেহ নেন বাবা সারাউদ্দিন মোল্লা। |