|
|
|
|
দুঃস্বপ্নের স্মৃতি উস্কে অগ্নিকাণ্ড আমরির কাছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গত বছরের স্মৃতি ফিরে এল এলাকায়। আমরি অগ্নিকাণ্ডের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ঢাকুরিয়ায় ওই হাসপাতালের ৫০ মিটারের মধ্যে একটি তিনতলা বাড়িতে আগুন লাগল। আমরির মতো এ বারও প্রথমে বেসমেন্ট থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে ছিল পোড়া গন্ধ। তবে বেসমেন্ট থেকে আগুন পুরো বাড়িতে ছড়ানোর আগেই দমকলের চারটি ইঞ্জিন এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার সকালের এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে গোলপার্ক এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ জানায়, সকাল সওয়া আটটা নাগাদ বেসমেন্ট থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন ওই বাড়িরই বাসিন্দা অঞ্জনা নাথ। তিনি দমকল ও পুলিশে জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে লেক থানার পুলিশবাহিনী। আসে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও পুরকর্মীরা। পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির একতলায় একটি স্টুডিও আছে। বেসমেন্টে সেই স্টুডিওর ল্যাবরেটরি ও অফিসে ডিজিটাল প্রিন্টার, কম্পিউটার ও এসি ছিল। সেখানে কোনও ভাবে আগুন লাগলে তা পুরো বেসমেন্টে ছড়িয়ে পড়ে। |
চলছে আগুন নেভানো। —নিজস্ব চিত্র |
পুলিশ জানায়, ওই বাড়িটির দোতলায় থাকেন অঞ্জনাদেবী ও তাঁর স্বামী। তিনতলায় ওই স্টুডিওর মালিক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর অফিস রয়েছে। দমকলের এক কর্তা বলেন, “বেসমেন্টটি পুরো পুড়ে গিয়েছে। তবে কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।”
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, গত বছর ৯ ডিসেম্বর সকালে আমরির সামনে যে ছবি দেখা গিয়েছিল, কার্যত সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি। গোলপার্ক এলাকার একটি গলির ভিতরের ওই তিনতলা বাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে দমকল, পুলিশের গাড়ি। ভিড় করেছেন আশপাশের বাসিন্দা ও পথচলতি মানুষ। সকলেরই চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। এক বাসিন্দা বললেন, “ঘুম থেকে উঠেই শুনি বাইরে আগুন-আগুন বলে চেঁচামেচি হচ্ছে। রাস্তায় বেরিয়ে দেখি, সামনের বাড়ির বেসমেন্ট থেকে বেরোনো কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ভরে গিয়েছে।”
ওই বাড়ির বাসিন্দা অঞ্জনাদেবীও রাস্তার পাশের এক দোকানে জড়োসড়ো হয়ে বসেছিলেন। তিনি বললেন, “সকাল সাতটা থেকেই পোড়া গন্ধ পাচ্ছিলাম। মেন সুইচ অফ করে দিলাম। তার বেশ কিছুক্ষণ পরে দেখি, ঘরে ধোঁয়া আসছে। নীচে নেমে দেখলাম, বেসমেন্ট থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।” এ দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে বাড়ির লোকজনকে নিয়ে চলে আসেন অনিরুদ্ধবাবু। সব দেখে বলেন, “কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল!” |
|
|
|
|
|