|
|
|
|
আগুনের ঝুঁকি রয়েই গিয়েছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি ও মালদহ |
আমরি কাণ্ডের এক বছর পরেও হুঁশ ফেরেনি উত্তরবঙ্গ এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের। ওই দুই স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়েয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই দমকলের তরফে পরিদর্শন করে অগ্নিকাণ্ডের মোকাবিলায় জলাধার তৈরি করা থেকে বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনওটাই কার্যকর হয়নি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অন্তত ২৪ টি ওয়ার্ড রয়েছে। করিডর এবং ওয়ার্ড মিলিয়ে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে অন্তত ৫৬টি। ছোটখাট আগুন নেভাতে তা কার্যকর হলেও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মোকাবিলা করতে পরিকাঠামো নেই। আমরি কাণ্ডের পর জলাধার থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে আগুন নেভাতে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। সেই কাজ এখনও হয়নি।
একই পরিস্থিতি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও। এ ছাড়া জরুরি তা হল আগুন লাগলে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, চিকিৎসকরা কী করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন তার ‘মহড়া’ দেওয়া। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস জানিয়েছেন, মহড়া একবারও করা সম্ভব হয়নি। তবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাস বড় এবং ওয়ার্ডগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় আগুন লাগালে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার মতো বিপদের সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন দমকল কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিস্থিতি উল্টো। কম জায়গার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। সুপার হিমাদ্রী আড়ি বলেন, “ছ’মাস আগে পূর্ত বিভাগকে জলাধার তৈরির চিঠি দিয়েছিলাম। আজও হয়নি।’’ |
|
|
|
|
|