টুকরো খবর
রোগী মৃত্যু নিয়ে তপ্ত বহরমপুর হাসপাতাল

সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
চিকিৎসার গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে উতপ্ত হয়ে উঠল বহরমপুর সদর হাসপাতাল। শুক্রবার সকালে টুম্পা প্রামাণিক (৩২) নামে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রোগীর বাড়ির লোকের দাবি, সকালে নয়, রাতেই মারা গিয়েছিলেন টুম্পা। ওই ঘটনার জেরে বহরমপুর সদর হাসপাতালে এ দিন সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। রোগীর বাড়ির লোকজন হাসপাতালের এক আয়ার উপরে চড়াও হয়। খবর পেয়ে ওই আয়ার পরিবারের লোক হাসপাতালে ঢুকে পাল্টা মারধর করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সুপার কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “তিন সদস্যের তদন্তকারী দল গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ৫ ডিসেম্বর নবগ্রামের পুণ্ডি গ্রামের টুম্পাদেবীকে বহরমপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সুপার বলেন, “ওই মহিলা ‘কনভাল্সন ডিসঅর্ডার’ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।” পরে মহিলা বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগীকে পেয়িং বেডে সরানো হয়। তাঁর স্বামী রাজকুমার প্রামাণিক বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে টুম্পা স্বাভাবিক খাবার খেয়ে ছিল। কথাও বলেছে। গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতাল চত্বরে রাত কাটাচ্ছি। গত কাল রাতেও হাসপাতালের বাইরেই শুয়েছিলাম। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ আয়া এসে জানানরোগীর অবস্থা ভাল নয়। ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি তখনই কলবুক দিয়ে চিকিৎসককে হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে রোগীকে অক্সিজেন-স্যালাইন দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু ততক্ষণে টুম্পা মারা গিয়েছে। ওর গা ঠান্ডা, শক্ত হয়ে গিয়েছিল। কখন মারা গিয়েছে কেউ বলতেই পারল না।” খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা হাসপাতালে সুপারকে ঘেরাও করেন। পরে টুম্পাদেবীর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হাসপাতালে অনশন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর

অনশন মঞ্চ। নিজস্ব চিত্র।
রোগীদের খাবার সরবরাহের দায়িত্ব ফের তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হোক, এই দাবিতে টানা চার দিন ধরে হাসপাতালের ভিতর পলিথিন টাঙিয়ে অনশন শুরু করেছেন একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। শুক্রবার ওই গোষ্ঠীর পক্ষে অভিযোগ করা হয়, গত চার বছর ধরে জেলা প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরে তারা দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের দাবি মানা হয়নি। অনশনে দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ২০০৮ সালে ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১০ মহিলা ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীদের খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব পান। পাঁচ মাস পরে আর্থিক কারণে তাঁরা অব্যাহতি চান। অন্য একটি গোষ্ঠী কাজ শুরু করেন। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সাগর চক্রবর্তী বলেন, “হাসপাতালে এ ধরনের আন্দোলন চালানো যায় না। তাঁরা অনশন তুলে আলোচনা করুন।” ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, “নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোলে তাঁরা কাজ ছাড়েন। তারপর নয়া গোষ্ঠীকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়।”

মিড-ডে খেয়ে অসুস্থ ৫৩
স্কুলের মিড-ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৫৩ জন শিশু-পড়ুয়া। শুক্রবার দুপুরে বেলপাহাড়ি ব্লকের কাঁকো অঞ্চলের ধরমপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। রাতে বিনপুর থানার পুলিশের উদ্যোগে অসুস্থদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্কুলের টিচার ইন চার্জ অরুণ নন্দী জানিয়েছেন, “এদিন ভাত ও সয়াবিনের তরকারি রান্না হয়েছিল। পড়ুয়ারা যাথারীতি খাবার খেয়েছিল। তারপরই একে একে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।” রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বসহায়ক দলের সদস্য সুমিত্রা বিদ ও সাবিত্রি বিদ-এর বক্তব্য, “খাওয়ার সময় একটি শিশুর পাতে কুণ্ডলি পাকানো একটা সাদা পোকার মত জিনিস দেখা যায়। তাতেই রান্নায় টিকটিকি পড়েছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।” খবর পেয়ে ছুটে আসেন অভিভাবকেরা। স্কুলে এসে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসীর একাংশ। অসুস্থদের প্রথমে বিনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিনপুর থানার আইসি সুমন চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গাড়ির ব্যবস্থা করে রাতে অসুস্থদের মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে মেদিনীপুর হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে আসেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল প্রমুখ। শুদ্ধদনবাবু পরে বলেন, “প্রতিটি শিশুর অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

ছুটি পেয়ে ফের অসুস্থ, মৃত্যু হাসপাতালেই
এক দিন আগে ভর্তি হওয়া রোগীকে ছুটি দিয়েছিলেন চিকিৎসক। হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওই রোগী। মারা গেলেন ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে। শুক্রবার হাওড়া জেলা হাসপাতালে এই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সুপারের ঘরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়স্বজন। চলে ভাঙচুরও। হাসপাতাল-চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশে অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। অভিযুক্ত চিকিৎসক প্রবীর ঘোষ এর আগে মদ খেয়ে কাজে আসায় বাঘা যতীন হাসপাতাল থেকে ব্যারাকপুর বি এন বসু এবং পরে হাওড়া হাসপাতালে বদলি হন। সেখানেও তিনি মদ্যপান করে কাজে আসতেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ জানান, পঞ্চানন আচার্য (৩২) নামে বেলগাছিয়া কুঞ্জপাড়ার এক যুবক বৃহস্পতিবার পেটব্যথা ও রক্তবমির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন। প্রবীরবাবু শুক্রবার তাঁকে ছুটি দেন। পঞ্চাননবাবুর স্ত্রী রমা আচার্য জানান, তাঁর স্বামী মাথা তুলতে পারছিলেন না। কিন্তু চিকিৎসক তাতে আমল না-দিয়ে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলেন। রমাদেবী জানান, এ দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ছুটি পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন পঞ্চাননবাবু। মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি মারা যান। সুপার শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “চিকিৎসায় গাফিলতির বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

শিশুকে ভর্তি নিল হাসপাতাল

ছবি: মোহন দাস
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ও হুগলির জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি নিল অভিভাবকহীন অসুস্থ শিশু সোনালি সোরেনকে। শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনিতে আক্রান্ত শিশুটি কিছু দিন ধরে আরামবাগ হাসপাতালে ছিল। অসুস্থতা বাড়ায় ৩০ নভেম্বর সুপার শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠান। অভিভাবক না-থাকায় তাকে ভর্তি নেয়নি বর্ধমান মেডিক্যাল। আরামবাগ হাসপাতালের সুপার নির্মাল্য রায় জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে ও হুগলির জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে শিশুটিকে শুক্রবার বর্ধমানের শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই সমিতি শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করে। সমিতির কো-অর্ডিনেটর শুভাশিস দে বলেন, “বর্ধমানের জেলাশাসকের নির্দেশে আমরা শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছি। তাকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে।”

আলোচনাচক্র
থ্যালাসেমিয়া নিয়ে আলোচনাচক্র ছিল রানিগঞ্জের ত্রিবেণী দেবী ভলোটিয়া কলেজে। ছিলেন ইসিএলের কুনস্তরিয়া এরিয়ার জিএম অখিলেশকুমার পাণ্ডে ও তপতীকুমার পোদ্দার, তৃণমূল কাউন্সিলর হেনা খাতুন।

হাসপাতালে বিক্ষোভ
চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগে শুক্রবার হাওড়ার টিএল জয়সোয়াল হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় কংগ্রেসকর্মীরা। অভিযোগ, ৩০০ শয্যার ওই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে পরিষেবা বিপর্যস্ত। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও অ্যাম্বুল্যান্স নেই, রোগী এলেই অন্যত্র রেফার করা হচ্ছে। জরুরি বিভাগে সব সময়ে চিকিৎসক থাকেন না। হাসপাতালটির উন্নতির দাবিতে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.