|
|
|
|
পুরসভায় বাম-অবস্থান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
‘টাকা’ ছাড়া শিলিগুড়ি পুরসভায় কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা নেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার সামনে অবস্থানে বসেন ১৭ জন বাম কাউন্সিলর। তিনি অভিযোগ করেন, বিল্ডিং বিভাগ, ট্রেড লাইন্সেস, পার্কিং, হোর্ডিং, জন্ম-মৃত্যুর সার্টিফিকেট-সহ যে কোনও বিভাগে সাধারণ মানুষ গেলে তাঁদের ‘টাকা’ দিতে হয়। না হলে কাজ করা হয় না। গত ৩০ নভেম্বর পুরসভায় যে বোর্ড মিটিং হয়েছে তাতে ৭টি বেআইনি বিল্ডিং পাশ করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পুরসভার বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানান তিনি। তাঁর কথায়, “পুরবোর্ড একদিকে, দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। যে কোনও বিভাগেই যাও ‘টাকা’ ছাড়া কোনও কাজ হচ্ছে না। পরিষেবার মানও তলানিতে ঠেকেছে। বার বার অবস্থান বিক্ষোভ করলেও কর্তৃপক্ষের অবস্থান বদল হচ্ছে না। নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলব।”
পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বামেদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “বর্তমান পুরবোর্ডে কোনও দুর্নীতি হয়নি। ওঁরা যা বলছেন তার প্রমাণ দিতে পারবেন কি? বাম আমলে একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে। বেআইনি নির্মাণ বাম আমলেই হয়েছে। নাগরিকেরা সব দেখে বামেদের প্রত্যাখান করেছেন।” এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ পুরসভার সামনে অবস্থান শুরু করেন বামেদের ১৭ জন কাউন্সিলর। নুরুল অভিযোগ করেন, একটি বহুতল তৈরির প্ল্যান পাশ করানো হয়েছে। ওই বাড়ি নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অভিযোগ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এ ছাড়া পার্কিংয়ের ২২ লক্ষ টাকা পুরসভা পায়নি। যারা ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে নুরুলবাবুর দাবি। বেআইনি হোর্ডিং, বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারে শহর ভরে গেলেও পুরসভা নির্বিকার বলেও বামেদের পক্ষে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সিপিএমের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল বলেন, “পানীয় জল, রাস্তা, থেকে আবর্জনা পরিষ্কার সবেতেই পুরসভা ব্যর্থ। বাম আমলে কী হয়েছে আর এখন কী হচ্ছে মানুষ তা দেখছেন। এর বিরুদ্ধে ক্রমশ জনমত তৈরি হচ্ছে।” মেয়র অবশ্য বামেদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “পার্কিং নিয়ে এফআইআর করা হয়েছে। একজন গ্রেফতার হয়েছে। বেআইনি হোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত টাওয়ার বাম আমলে হয়েছে। ধীরে ধীরে সেগুলির ব্যবস্থা নেব। পরিষেবা স্বাভাবিক।” অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব দেননি বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহাও। |
|
|
|
|
|