|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ২... |
|
মাওবাদী রাজনীতির সুলুক সন্ধান |
তাপস সিংহ |
ডেজ অ্যান্ড নাইটস ইন দ্য হার্টল্যান্ড অব রিবেলিয়ন, গৌতম নওলাখা। পেঙ্গুইন, ২৯৯.০০
মাই ডেজ উইথ পিপলস গেরিলা আর্মি/ মাওবাদী ডেরায় অজানা কাহিনি, সৌমিত্র দস্তিদার। অফবিট, ১৫০.০০ |
হাতে আসা দু’টি গ্রন্থেরই বিষয়বস্তু এক মাওবাদ। নির্দিষ্ট করে বললে, এ দেশে মাওবাদ তথা মাওবাদী রাজনীতির সুলুক সন্ধানে পরিক্রমা। একটি গ্রন্থ ইংরেজিতে, আর একটি বাংলায়। এই দুই গ্রন্থেরই পরিক্রমার ক্ষেত্র এক, বস্তার। ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের ঘন অরণ্যে ঘেরা অঞ্চলের মানুষজন, জল-জঙ্গল-প্রকৃতি দু’টি গ্রন্থেই ফিরে ফিরে এসেছে। এবং অবশ্যই এসেছে প্রান্তিক মানুষগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো মাওবাদীদের কথাও।
গৌতম নওলাখা গোটা দেশেই সুপরিচিত মানবাধিকার কর্মী। দিল্লিতে পিপলস ইউনিয়ন ফর ডেমোক্র্যাটিক রাইটস-এর (পিইউডিআর) সঙ্গে যুক্ত। তিন দশকেরও বেশি যুক্ত ‘ইকনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি’-র সঙ্গে। বস্তারের ঘন অরণ্যে ২০১০-এর জানুয়ারিতে এক পক্ষকাল ‘রেড করিডর’ ধরে ঘুরেছেন গৌতম। সঙ্গী ছিলেন সুইডিশ লেখক জান মিরডাল। গৌতমের বইটি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথম অধ্যায়ে এই যুদ্ধ, যুদ্ধের রাজনীতি এবং ‘রণাঙ্গন’-এর অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন গৌতম। দ্বিতীয় অধ্যায়ে তাঁর নিরীক্ষণ, পর্যালোচনা ও মাওবাদী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তার বর্ণনা রয়েছে। তৃতীয় অধ্যায়ে মাওবাদী আন্দোলনের নানা বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন এই মানবাধিকার কর্মী। তাঁর বক্তব্যের মতো এই বইটিও ধারালো এবং ঝকঝকে বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণে সমৃদ্ধ।
দ্বিতীয় গ্রন্থের লেখক সুপরিচিত তথ্যচিত্র নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার। তাঁর বাংলা গ্রন্থটি (বাংলা গ্রন্থের এ রকম ইংরেজি নাম কেন, বোঝা গেল না)। এটিও বস্তারে মাওবাদীদের সঙ্গে তাঁর পরিভ্রমণের কাহিনি। মাওবাদীদের উপর তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য আরও দু’জনের দল নিয়ে তাঁদের সঙ্গী হয়েছিলেন সৌমিত্র। এটি তাঁর পরিকল্পিত ট্রিলজির প্রথম পর্ব। পরে তাঁর পরিকল্পনায় আছে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করা এবং তৃতীয় পর্বে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন শিবিরের বাম নেতা ও কর্মীদের সাক্ষাৎকার। ‘প্রসঙ্গকথা’য় অসীম চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মাওবাদীদের নিয়ে এমন কাহিনি এতাবৎ লেখা হয়নি।’ সুদীপ চক্রবর্তী, রাহুল পান্ডিতা, অরুন্ধতী রায় বা সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা গ্রন্থের কথা মনে রেখেও কি এ কথা বলছেন অসীমবাবু! |
|
|
|
|
|