|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম... |
|
তিন প্রেমের গল্প
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
ইন্দ্রাণী দত্ত ও তাঁর ডান্স ট্রুপ ‘সৃষ্টি’ প্রতি বছরেই নতুন নতুন কিছু ডান্স উপহার দিয়ে এসেছেন দর্শকদের। এ বছর ‘সৃষ্টি’-র দশ বছর পূর্তিতে ইন্দ্রাণী ভেবেছিলেন একেবারে নতুন কিছু করতে। আর সেই ভাবনারই ফসল হল ‘ওয়ানস আপঅন এ টাইম’। সামার অপেরার তিনটে প্রেমের গল্প নিয়ে প্রায় দু’ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে ছিল ‘শকুন্তলা’, ‘অ্যান অ্যারাবিয়ান লভস্টোরি’, ‘সিন্ডেরেলা’। সম্প্রতি কলামন্দিরে ছিল প্রথম শো।
কোনওটাতেই নেই কোনও গান বা সংলাপ। শুধুমাত্র অসাধারণ নৃত্যের মাধ্যমে আবহসঙ্গীতকে সঙ্গী করে রূপ দিলেন তাঁরা। অবশ্য এতে সুন্দর ভাবে সাহায্য করেছে নিখুঁত পোশাক পরিকল্পনা, মঞ্চসজ্জা ও আলোর ব্যবহার।
এ দিনের সন্ধ্যার প্রথম নিবেদন ছিল ‘শকুন্তলা’। শকুন্তলার পোশাক পরিকল্পনা ইন্দ্রাণীর নিজের। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সঙ্গীতের অপূর্ব মিশ্রণ ঘটিয়েছেন জয় সরকার। ইন্দ্রাণী ছাড়াও প্রতিটি সহ-শিল্পীই সুন্দর নৃত্যের মাধ্যমে গল্পটি উপস্থাপন করলেন। এর পর ছিল ‘অ্যারাবিয়ান লাভ স্টোরি’। শকুন্তলা বা সিন্ডেরেলার গল্প যদিও প্রায় সকলেরই জানা। এই অ্যারাবিয়ান লাভস্টোরির (প্রেমের উপাখ্যানটি) ইন্দ্রাণীর নিজস্ব কল্পনাপ্রসূত। তবুও এই প্রেমের গল্পটিও দর্শকদের বুঝতে অসুবিধা হয় না বিক্রম ঘোষের দুরন্ত আবহসঙ্গীতের গুণে। ইন্দ্রাণীর পোশাক ডিজাইন করেছিলেন সস্যা এবং কোরিওগ্রাফি করেছেন টুবান। বিক্রম ঘোষের মিউজিক মানেই একটা আলাদা মাত্রা থাকে, সেই মিউজিকের সঙ্গে কখনও অ্যাফ্রো অ্যারাবিয়ান, সালসা বা ফ্লেমিংগোর চমৎকার ব্যবহার করেছেন টুবান।
|
একা এবং কয়েকজন |
|
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মরণে একটি মনোজ্ঞ কবিতার আসর। সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘একা এবং কয়েকজন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিজয়লক্ষ্মী বর্মন, প্রণতি ঠাকুর, শ্রীলা মজুমদার, শুচিতা রায়চৌধুরী, চৈতালি দাশগুপ্ত, কাঞ্চনা মৈত্র, অরিন্দম শীল, দীপান্বিতা চট্টোপাধ্যায়, বিপ্লব দাশগুপ্ত, সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এই অনুষ্ঠানে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রিয় কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করলেন সোহিনী মুখোপাধ্যায়। শিল্পীর কণ্ঠে ‘যদি প্রেম দিলে না প্রাণে’ গানটি এই অনুষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ নিবেদন। কাঞ্চনা মৈত্রের ‘দীর্ঘ কবিতার খসড়া’ যেন এক মায়াবী বিমূর্ততা সৃষ্টি করে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত পরিবেশন করলেন ‘নাচমেলা’ কবিতাটি। তাঁর কণ্ঠে এই কবিতা হয়ে ওঠে ক্যানভাস। এ দিন বিজয়লক্ষ্মী বর্মন আবৃত্তি করেন ‘জল বাড়ছে’ কবিতাটি। অরিন্দম শীলের উপস্থাপনায় ‘চে’ কবিতায় পাওয়া যায় অসহিষ্ণু যৌবনের গতিবেগ। এই সন্ধ্যায় নজর কেড়েছিলেন শ্রীলা মজুমদার, একটি ফরাসি কবিতার অনুবাদ শুনিয়ে। প্রসঙ্গত এ দিন ছিল সুনীল-বন্ধু কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনও। অত্যন্ত যত্ন ও পরিশীলিত আবেগে গোটা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুজয় প্রসাদ। |
|
|
|
|
|