|
|
|
|
সমস্যায় প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীরা |
একই সময়ে পরীক্ষা ও খেলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পরীক্ষা আর খেলা প্রায় একই সঙ্গে চলছে প্রাথমিক স্কুলগুলোয়। ফলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। সমস্যায় পড়েছে ছাত্রছাত্রীরাও। নভেম্বর থেকে জেলার বেশিরভাগ প্রাথমিক স্কুলের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আবার ওই সময় থেকেই শুরু হয়েছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও।
১০ ডিসেম্বর থেকে মেদিনীপুর সদর পূর্ব চক্র ও দক্ষিণ চক্রের স্কুলগুলোয় বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। আবার ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ফলে, ওই দুই চক্রের যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী জেলা প্রতিযোগিতায় যোগদানের সুযোগ পাবে, তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। প্রয়োজনে সংসদের বিশেষ অনুমতি নিয়ে পরে পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। সমস্যার কথা মানছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মুও। তিনি বলেন, “একই দিনে পরীক্ষা ও খেলা হচ্ছে, এমনটা আগে হয়নি। কবে থেকে পরীক্ষা শুরু করা যেতে পারে এবং কবে থেকে খেলা শুরু করা যেতে পারে, দু’টো নির্দেশই রাজ্য থেকে আসে। সেই মতো আমরা পদক্ষেপ করি। তবে পরীক্ষার সময় খেলা না হলেই ভালো। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি জানাব।” সমস্যার কথা মানছেন শিক্ষকেরাও। |
|
এগরা হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হল এগরা উত্তরচক্রের ৩৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
সদর পূর্ব চক্রের এক শিক্ষক বলেন, “পরীক্ষা ও খেলা, দু’টো একই সঙ্গে চলতে পারে না। হয় পরীক্ষা নভেম্বরে হোক। খেলা ডিসেম্বরে। নয় তো পরীক্ষা ডিসেম্বরে হোক। খেলা জানুয়ারিতে।” তাঁর কথায়, “ছাত্রছাত্রীরা কেন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়ার পরের দিন পরীক্ষায় বসবে? কিংবা পরীক্ষার পরের দিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে? কারণ দু’ক্ষেত্রেই একটা প্রস্তুতি দরকার। সংসদের উচিত, বিষয়টি ভেবে দেখা।”
আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনের জেলা প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জানান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হবে মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হবে রবীন্দ্র নিলয়ে। ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর সদর, ঘাটাল এবং খড়্গপুর মহকুমা থেকে ৪৩২ জন ছাত্রছাত্রী এই প্রতিযোগিতায় দেবে। এর মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ২৮টি ইভেন্টে ৩৩৬ জন এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ৮টি ইভেন্টে ৯৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। আগে মহকুমাস্তরের প্রতিযোগিতায় যারা প্রথম ও দ্বিতীয় হত, তাদেরই জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় যোগদানের সুযোগ দেওয়া হত। এ বার মহকুমাস্তরে তৃতীয় স্থানাধিকারীদেরও জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় যোগদানের সুযোগ দেওয়া হবে। সংসদ চেয়ারম্যান স্বপনবাবুর কথায়, “এ বার আরও বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় নিজের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পাবে। আমরা চাই, পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা খেলাধুলো করুক।” চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, জেলা প্রতিযোগিতার উদ্বোধক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীকে। জেলা প্রতিযোগিতার আগেই মহকুমাস্তরের প্রতিযোগিতা শেষ হবে। শুক্রবার ঘাটাল এবং খড়্গপুর মহকুমাস্তরে প্রতিযোগিতা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম এবং ৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর সদর মহকুমাস্তরে প্রতিযোগিতা হবে। |
|
|
|
|
|