|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা |
পরিবর্তন |
অন্য পটে |
বিভূতিসুন্দর ভট্টাচার্য |
বদলে যাচ্ছে পটের পটই। প্রচলিত ক্যানভাসের পাশাপাশি মেদিনীপুরের পিংলার পটশিল্পীরা পট আঁকছেন টি-শার্ট, শাড়ি, বিভিন্ন মৃৎপাত্র এমনকী পোড়ামাটির গয়নার উপর। কেন? শিল্পীরা জানালেন প্রাচীন এই শিল্পকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতেই এই প্রয়াস। পটচিত্রকে আজকের প্রজন্মের অনেকেরই পছন্দ টি-শার্ট, শাড়ি, বা সালোয়ার কামিজে। কারণ পটচিত্রের সেই ‘এথনিক লুক’। |
|
শুধু তাই নয়, পট আঁকা হচ্ছে তালপাতার পাখা, পেন্সিল স্ট্যান্ড, পোড়ামাটির ফুলদানি, গামলা ইত্যাদিতে। এ শহরের বিভিন্ন মেলাতে দেখা যায় পিংলার এই সব পটশিল্পীদের রঙিন সম্ভার। পটশিল্পীদের মতে আগের তুলনায় এই শিল্পের চাহিদা বেড়েছে। তাই কাজের পরিধিও বেড়েছে। এর ফলে আগের তুলনায় এগুলির বিক্রিও বেড়েছে।
মিলনমেলা প্রাঙ্গণে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় এসেছেন স্নেহলতা চিত্রকর। বললেন, “মানুষ এগুলি পছন্দ করছেন, কিনছেন। তবে শাড়িতে আঁকা পট তৈরি থাকে না। থান দিয়ে গেলে তার উপর এঁকে দিই।”
মেদিনীপুরের পট হয় হরেক রকম। যেমন যাদুপট, সাঁওতালিপট, চক্ষুদানপট, মনসামঙ্গলপট, সীতাহরণপট, চণ্ডীমঙ্গলপট, দুর্গাপট, বৃক্ষরোপণপট, গাজীপট ইত্যাদি। তবে পটশিল্পীরা পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক কাহিনির পাশাপাশি সাম্প্রতিক কালের নানা ঘটনাও তুলে ধরেন পটের মাধ্যমে। যেমন আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান ভেঙে পড়া ও লাদেনের কার্যকলাপও ফুটে উঠেছে তাঁদের কাজে। তবে ট্র্যাডিশনাল পটচিত্রে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক রং আর শাড়ি বা টি-শার্টে অথবা মাটির বড় ভাসে পট আঁকতে ব্যবহার করা হয় ফ্যাব্রিক রং। এর ফলে জলে ও সাবানে রং উঠে যায় না। |
|
মেলায় পছন্দের পট বাছতে বাছতে অনুরাধা ঘোষ বললেন ,“ঘর সাজানোর ভাল উপকরণ ছিল পট। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই ট্রাডিশন এখন টি-শার্ট ও শাড়িতে। একটা শাড়ি এনেছি। পরিচিত এক শিল্পীকে দিয়ে শাড়িটার পাড়ে ও আঁচলে সাঁওতালিপট আঁকাব।” মেলার অন্য একটি স্টলে পছন্দমতো পটচিত্র আঁকা টি-শার্ট কিনতে এসে দুই কলেজ পড়ুয়া রোহিত কপূর ও সৌরভ শেঠ জানালেন, কলেজে বা সোশ্যাল গ্যাদারিং-এ একটু আলাদা ‘লুক’-এর জন্য এগুলি বেশ আকর্ষণীয়। |
|
|
|
|
|