অতীতের পেশায় চুরি-ডাকাতি, শিশু নির্যাতন, নিষিদ্ধ মাদক- শিকারিদের খুঁজে বের করা সবই করেছেন তিনি। এক সময়কার জাঁদরেল পুলিশ কি এখন হিমশিম খাচ্ছেন ইশান্ত শর্মা-প্রজ্ঞান ওঝাদের সামলাতে? শুক্রবারের ইডেন অন্তত তেমন প্রশ্নই তুলে দিল। দিনের শেষে ক্রিকেটমহলের জোরালো গুঞ্জনআমাদের বোলিং কোচ জো ডসের কাজটা কী?
ক্রিজের সঙ্গে ফেভিকলের মতো জুড়ে গিয়েছেন অ্যালিস্টার কুক আর জোনাথন ট্রট এই পরিস্থিতিতে কি না এক বারও ‘রাউন্ড দ্য উইকেট’ বল করতে এলেন না প্রজ্ঞান! রাহুল দ্রাবিড় তো বলেই ফেললেন, “মনে হয় কেউ প্রজ্ঞানকে বলে দেয়নি যে এখন রাউন্ড দ্য উইকেট বল করা দরকার!” আরও এক ধাপ এগিয়ে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “আমি বুঝতেই পারছি না জো কী করছে। ভারতে এত ভাল ভাল স্পিনার ছিল, তাদের ছেড়ে আমরা কেন অস্ট্রেলিয়ার পেসারকে বোলিং কোচ করে দেব? ভারতীয় স্পিনারদের মানসিকতা জো কতটা বোঝে, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। মনে হয় ওর সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের যোগাযোগেরও কোথাও একটা সমস্যা রয়েছে।”
|
ডস: বিতর্কের কেন্দ্রে |
কুইন্সল্যান্ডের প্রাক্তন পেসারকে ঘিরে প্রশ্নের আঁচ বাড়িয়ে দিলেন স্বয়ং প্রজ্ঞান। তাঁর বক্তব্য বোলিং নিয়ে কোনও সমস্যায় পড়লে জো নয়, তাঁর মেন্টরের কাজ করেন রঞ্জি টিমে তাঁর কোচ সুনীল জোশী বা বেঙ্কটপতি রাজু, না হলে ছোটবেলার কোচ বিজয় পাল। ড্রেসিংরুমেও কারও পরামর্শ নিতে হলে তিনি খোঁজেন সচিন-সহবাগদের। কোথাও নেই জো।
৪১ বছরের জো-র দায়িত্বে আসার পরে ভারত খেলেছে মোট চারটে টেস্ট। ইডেন তাঁর পঞ্চম টেস্ট। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভারতীয় বোলাররা যথেষ্ট কর্তৃত্ব দেখালেও ইংল্যান্ড সিরিজে ধারাবাহিকতার অভাব। বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার উৎপল চট্টোপাধ্যায় যদিও জো-র সমর্থনে বলছিলেন, “ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলারদের কাজে লাগানোর ব্যাপারটা নির্ভর করে অধিনায়কের উপর। আর বোলিং কোচ পেসার হলে সে স্পিনারদের সামলাতে পারবে না, এটা ঠিক নয়। ক্রিকেটটা বুঝলেই হল।”
জো আবার দাবি করছেন যে, নিষ্ঠায় তাঁর কোনও খামতি নেই। নতুন জাতীয় নির্বাচকদের সঙ্গে বসে ঠিক করেছেন, তরুণ বোলারদের মধ্যে কাদের উপর ভবিষ্যতের লগ্নি করা যায়। বোলার তুলতে চোখ রাখছেন রঞ্জি ট্রফির ম্যাচেও। ভারতের সাধারণ ক্রিকেটজনতা অবশ্য অত দূর দেখতে রাজি নয়। তারা চায় চটজলদি উত্তর। মুম্বইয়ে আত্মসমর্পণের পিঠোপিঠি ইডেনের বিপর্যয়ে ঢাকা পড়ে গিয়েছে আমদাবাদে বোলারদের সাফল্য। এ রকম চলতে থাকলে ডসকে ঘিরে অসন্তোষের গুঞ্জন ক্ষুব্ধ গর্জনে বদলে যেতে কতক্ষণ?
|