|
|
|
|
গণধর্ষণে চার্জশিট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার ঠিক তিন মাস পর মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। এই মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ৮। তার মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকি ২ জন পলাতক। তাদের খোঁজে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েও পুলিশের একটি দল তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু খোঁজ মেলেনি।
খড়্গপুর শহরের মথুরাকাটিতে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে গত ৮ সেপ্টেম্বর। সন্ধ্যায় এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কয়েকজন যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তদন্তে খড়্গপুরে আসেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গণধর্ষণের ঘটনায় ৮ জন যুবক জড়িত। এদের নামও জানা যায়। ৬ জনকে ধরাও হয়। তবে তুলসীপ্রসাদ বদ্রী ও ওয়াই বিজয় ভাস্কর নামে দুই অভিযুক্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছে। দু’জনই রেলকর্মী। তুলসীর বাড়ি মথুরাকাটিতে। বিজয়ের নিউ সেটলমেন্টে। গত ২৩ নভেম্বর এই দু’জনেরই অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে পলাতক দুই অভিযুক্তের অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, চার্জশিটে আইপিসি’র ৪টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। রয়েছে অপহরণ, গণধর্ষণের অভিযোগ। চার্জশিটে জানানো হয়েছে, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটে, সেখানে এক অভিযুক্তের চশমা মিলেছে। বালিচক থেকে দু’টি মোটর বাইক উদ্ধার করা হয়েছিল। এতেই অভিযুক্তেরা খড়্গপুর থেকে বালিচকে গিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও দেওয়া হয়েছে।
গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তেরা ইতিমধ্যে মেদিনীপুর জেলা আদালতে জামিনের আবদেন জানিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর শুনানি রয়েছে। মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে ১৪ ডিসেম্বর মামলাটি উঠবে। প্রসঙ্গত, ধর্ষিতা এই ছাত্রীর জন্য ইতিমধ্যে রাজ্যের কাছে বর্বরতা প্রতিরোধ আইনে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে জেলা প্রশাসন। |
|
|
|
|
|