|
|
|
|
ঘাটে জমা আবর্জনায় নাকাল নিত্যযাত্রীরা, বাড়ছে নদীদূষণও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়দিঘি |
নাকে রুমাল চাপা গিয়েই ঘাটে পারাপার করতে হচ্ছে যাত্রীদের। কারণ ঘাটের পাশেই জড়ো করে রাখা আবজর্না থেকে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। আবর্জনা সরিয়ে পেলা তো দূরঅস্ত, উল্টে নিত্য বাড়ছে তার পরিমাণ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এমনই অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির মণি নদীর ঘাট এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে রায়দিঘির মণি নদীর ১ ও ২ নম্বর ঘাটের পাশে নিয়মিত আবর্জনা ফেলছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ওই ঘাট পারাপার করা নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। ঘটছে নদীদূষণও। রায়দিঘির ওই দু’টি ঘাট দিয়ে কুয়েমুড়ি, শীতলমাইতি, দমকল, মন্দিরঘাট, কিশোরমোহনপুর-সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। |
|
রায়দিঘির মণি নদীর ঘাটে জমে রয়েছে আবর্জনা। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
এ ছাড়াও শীতের মরসুমে ওই ঘাট দিয়ে পর্যটকেরা ট্রলার বা লঞ্চে বনিক্যাম্প, কলসদ্বীপে বেড়াতে যান। কিন্তু বর্তমানে যা অবস্থা তাতে দুর্গন্ধে জেরবার অবস্থা যাত্রী থেকে পর্যটক সকলের। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস ভান্ডারী, রমেন জানার অভিযোগ, রায়দিঘি বাজারের মাছের আড়ত, ফল ও সবজি বাজারের ব্যবসায়ীরাই ঘাটের পাশে আবর্জনা ফেলে সমস্যা তৈরি করছেন। বিষয়টি ব্যবসায়ী সমিতিকে জানানো হলেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” পাশাপাশি ২ নম্বর ঘাটের যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের অবস্থাও খারাপ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ প্রসঙ্গে রায়দিঘি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সন্তোষ মাইতি বলেন, “যে ফাঁকা জায়গাগুলিতে আবর্জনা ফেলা হত সেখানে কোথাও বাড়ি, কোথাও রাস্তা তৈরি হয়েছে। ফলে আবজর্না ফেলার অন্য জায়গা নেই। বাধ্য হয়েই ঘাটের পাশে আবজর্না ফেলছেন ব্যবসায়ীরা।”
মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংসমোহন কয়াল বলেন, “ওই জায়গায় জমি না মেলায় ভ্যাট তৈরি করা যাচ্ছে না। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|