শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সমস্যা শ্যামপুরের স্কুলে
রকার ছিল কলা বিভাগের শিক্ষক। পাওয়া গেল বিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন। ঘটনাটি শ্যামপুরের গুড়েপোল হাইস্কুলের। বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্য শিক্ষা দফতরের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে এই স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পঠন-পাঠন চালু হয়েছে। প্রথমে চালু হয় কলা বিভাগের পঠন-পাঠন। ২৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। কলা বিভাগের জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান, এডুকেশন এবং দর্শন এই তিনটি বিষয়ের জন্য শিক্ষক চেয়ে পাঠানো হয়েছিল।
স্কুল সূত্রের খবর, স্কুল শিক্ষা দফতর চিঠি দিয়ে জানায় অঙ্ক, জীবন বিজ্ঞান এবং পদার্থ বিজ্ঞান এই তিনটি বিষয়ে শিক্ষক পদ অনুমোদন করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ যেন জেলা স্কুল পরিদর্শকের মাধ্যমে ওই তিনটি বিষয়ে শিক্ষক পদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদন করে। চিঠি পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ফাঁপরে পড়েন। তাঁরা জানান, একাধিক বার স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক পদের বদলে কলা বিষয়ের শিক্ষক পদের অনুমোদন দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক সুশান্ত মণ্ডল বলেন, “শিক্ষকের অভাবে আমরা স্কুলের নিজস্ব তহবিলের টাকা খরচ করে বাইরে থেকে আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করে কোনও মতো পঠন-পাঠন চালাচ্ছি। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি জেলা স্কুল পরিদর্শকের মাধ্যমে শিক্ষক চেয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে আবেদন করতে না-পারি, তা হলে আরও অন্তত এক বছর আমরা শিক্ষক চেয়ে আবেদন করতে পারব না। অথচ স্কুল শিক্ষা দফতর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক পদের বদলে কলা বিভাগে শিক্ষক পদ অনুমোদন করে পাঠালো না। কী হবে জানি না।”
রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের অবশ্য খবর, এই ধরনের সমস্যা রাজ্যের আরও কিছু স্কুলে হয়েছে। এ বিষয়ে কী করণীয় তা শিক্ষা দফতর, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং শিক্ষা অধিকর্তার দফতরের পদস্থ কর্তারা বসে ঠিক করবেন বলে শিক্ষা দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন। তবে শিক্ষা দফতরের ওই পদস্থ কর্তার দাবি, বহু স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পঠন-পাঠন শুরু হলেও তা শুধু কলা বিভাগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বিজ্ঞান বা বাণিজ্য বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ স্কুলেরই অনাগ্রহ আছে। স্কুল শিক্ষা দফতর চাইছে, যে সব স্কুল সম্প্রতি একাদশ শ্রেণিতে পঠন-পাঠন চালু করেছে তারা যেন অবিলম্বে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করে। সেই কারণেই সেই সব স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য শিক্ষক পদ অনুমোদন করে পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছে।
কিন্তু ইতিমধ্যেই যে ছেলেমেয়েরা কলাবিভাগে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে কী ভাবছে স্কুল শিক্ষা দফতর? স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.