৪টি সমবায়ে ঋণ অমিল, বিপাকে বহু আলুচাষি
ণ দেওয়ার কাজ কারা দেখবে, এ নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট সরকারি নির্দেশিকা না-আসায় চলতি আলুর মরসুমে পুড়শুড়ার চারটি কৃষি সমবায় সমিতি থেকে চাষের জন্য ঋণ পাচ্ছেন না চাষিরা। সমিতিগুলিতে তাঁদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ লেগেই রয়েছে। ওই সব সমিতির কর্তাদের হেনস্থার মুখেও পড়তে হয়েছে। চাষিদের কেউ কেউ চড়া সুদে বা গয়না বন্ধক দিয়ে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছেন। সমস্যার আশু সুরাহার জন্য ওই সব সমবায়ের পক্ষ থেকে হুগলি জেলা সমবায় দফতরে আর্জি জানানো হয়েছে।
যে চারটি সমবায়ে সমস্যা, সেগুলি হল বড়দিগরুই, নিমডাঙ্গি, বেলেগাছি এবং জঙ্গলপাড়া। জেলা সমবায় সমূহের সহকারী নিবন্ধক বিজয় হালদার বলেন, “ঋণ দেওয়ার কাজ কারা দেখবে তা জানার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে নির্দেশিকা চেয়েছি। কী ভাবে চাষিদের সঙ্কটের সুরাহা করা যায়, তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে।”
চারটি সমবায়ে কী সমস্যা? জেলা সমবায় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সমবায় সমিতি আইন ২০০৬’ অনুযায়ী সমবায়ের পরিচালন সমিতির মেয়াদ ৩ বছর। রাজ্যে পালাবদলের পরে নতুন সরকার আইন করে পরিচালন সমিতির মেয়াদ ৫ বছর করে। চলতি বছরের গোড়ায় আইনটি সংশোধন করে ফের পরিচালন সমিতিগুলির মেয়াদ ৩ বছর করা হয়। ফলে, বেশ কিছু সমবায়ের পরিচালন সমিতি খারিজ হয়ে যায়। কিছু সমবায়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। রাজ্য সরকার সমবায়গুলিকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন ব্লকের সার্কেল ইনস্পেক্টরকে ‘স্পেশ্যাল অফিসার’ নিয়োগ করে সমিতির কাজ পরিচালনার জন্য।
চলতি বছরের অক্টোবর মাস নাগাদ কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের সমবায় আইনের সংশোধনকে বেআইনি ঘোষণা করে ২০০৬ সালের আইনটিকেই বলবৎ রাখে।
পুড়শুড়ার ওই চারটি সমবায়ের শেষ নির্বাচন হয় চলতি বছরে দুর্গাপুজোর কিছু দিন আগে। তার আগে হয়েছিল ২০০৯ সালে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০৯ সালে চারটি সমবায়ের পরিচালন সমিতির ক্ষমতা যাদের হাতে আসে, তারাই বর্তমানে সমিতি চালাবে। কিন্তু ওই সমিতিগুলিতে নতুন বোর্ড হয়েছে। ‘স্পেশাল অফিসার’ও রয়ে গিয়েছেন। ফলে, সমিতি পরিচালনা কারা করবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। সার্বিক অচলাবস্থাও সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্যই ওই সব সমবায়ের কর্তারা জেলা সমবায় দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন। একটি সমিতির এক ম্যানেজার বলেন, “চাষিদের ক্ষোভ-বিক্ষোভে আমরা জেরবার হয়ে যাচ্ছি। দ্রুত এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ করা দরকার।”
ওই চারটি সমবায়ের সদস্য রয়েছেন প্রায় ৩৫০০ জন। এঁদের মধ্যে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেন দু’হাজার চাষি। তাঁদের মধ্যে অরুণ পাল নামে এক আলু চাষি বলেন, “আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ঋণের অভাবে বীজ বা সার কিনতে পারছি না।” শেখ আব্দুল নামে আর এক চাষির বক্তব্য, “ঋণ না পেয়ে অনেক চাষিই এ বার আলু চাষ করছেন না। আমি মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করছি।” আর এক চাষি প্রণব মাইতি জানান, তিনি ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন প্রতি বছর। ৬০-৭০ হাজার টাকা ঋণ নেন সমিতি থেকে। এ বার ঋণ না পেয়ে চড়া সুদে মহাজনী ঋণ নিয়ে ২ বিঘা জমিতে মাত্র আলু চাষ করতে হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.