|
|
|
|
মাওবাদী নেতা আনন্দজি গ্রেফতার, ঘুম ছুটেছে অসম পুলিশের |
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি |
অসম থেকে মাওবাদী শীর্ষ নেতা ‘আনন্দজি’ গ্রেফতার হওয়ার পরে উজানি অসমে আরও দৃঢ় করা হচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নজরদারি। তিনসুকিয়া ও ডিব্রুগড় জেলাকে মাওবাদী অধ্যূষিত বলে ঘোষণা করা হবে বলে গত সপ্তাহেই জানান কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ। উজানি অসমে ব্যবসায়ীদের উপরে আলফা ও মাওবাদীদের তোলাবাজি ঠেকাতে অতিরিক্ত বাহিনীও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত কাল তেজপুরের একটি লজ থেকে ঝাড়খন্ডের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাও নেতা গ্রেফতার হওয়ায় অসম পুলিশের ঘুম ছুটেছে।
শোণিতপুরের পুলিশ সুপার পি কে নাথ জানান, গ্রেফতার হওয়া অমৃত সিংহ খেড়ওয়াড় ওরফে আনন্দজি ঝাড়খণ্ডের কোয়েলশাঁখ এলাকার কম্যান্ডার। তাঁর নেতৃত্বেই লাতেহার, গঢ়বা ও পলামু জেলায় জঙ্গি কাজ চলছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে অসম পুলিশ খবর পায়, আনন্দজি অসমে লুকিয়ে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে, কাল তেজপুরের জিরনি লজ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩৫ বছরের এই জঙ্গিনেতার সঙ্গে তাঁর শ্বশুর, অনিল সিংহ খেড়ওয়াড়ও হোটেলে ছিলেন। হিন্দুস্তান ইলেকট্রিকালের কর্মী অনিলবাবুকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঝাড়খণ্ডে আনন্দজির নামে খুন, তোলাবাজি, অপহরণ, ডাকাতি-সহ ১৮টি মামলা ঝুলছে। ঝাড়খণ্ড সরকার তার মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল। আনন্দজির বাড়ি লাতেহারে। ২০০৭-এ ঝাড়খণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরে ১১ মাস জেলে ছিলেন। জামিন পেয়েই সংগঠনে যোগ দেন। আজ আনন্দজিকে গুয়াহাটি নিয়ে আসে পুলিশ। সিজেএম আদালত তাঁকে সাত দিনের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দলের জিম্মায় পাঠায়। পুলিশের দাবি, পরেশপন্থী আলফা, পিএলএ ও মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হওয়ার পরে নিয়মিত মাওবাদী নেতারা অসমে আসছে। পিএলএ নেতারাও যাচ্ছে ঝাড়খণ্ড বা ছত্তিসগঢ়। আলফা-পিএলএ মাওবাদীদের অস্ত্র দিচ্ছে। প্রশিক্ষণ ও আশ্রয় দিচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ, উজানি অসম ও অরুণাচলে মাও ঘাঁটি মজবুত করতেই আনন্দজির মতো নেতার এখানে আসা। এর আগে, কিষেণজিও কয়েক দফায় অসমে এসেছেন বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর আগেও প্রায় মাসখানেক অসমেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন কিষেণজি। সঙ্গে ছিলেন কেএলও নেতা জীবন সিংহও। |
|
|
|
|
|