|
|
|
|
সেরা পড়ুয়া পেতে সেরা শিক্ষক চায় আইআইটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আইআইটি-জয়েন্টের প্রথম ১০০ স্থানাধিকারীই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন খড়্গপুর আইআইটি থেকে। ফলে সেরা ছাত্রছাত্রীদের পাচ্ছে না রাজ্যের একমাত্র আইআইটি। প্রতিষ্ঠানের ‘ডিন অফ অ্যালামনি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস’ অমিত পাত্র আইআইটি-র প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠান ‘প্যানআইআইটি’তে শুক্রবার এক আলোচনাসভায় এ কথা জানান। ভাল ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহী করতে বিশ্ব মানের শিক্ষক নিয়োগ ও পরিকাঠামো তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাই তাঁরা সরকারি অর্থসাহায্যের অপেক্ষায় না-থেকে নিজস্ব অর্থভাণ্ডার গড়ার পক্ষপাতী।
অমিতবাবু এ দিন বলেন, “আমাদের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আইআইটি প্রবেশিকায় প্রথম ১০০ স্থানাধিকারীর অনেকেই খড়্গপুরে পড়তে আসছেন না।” প্রায় পাঁচ বছর হল, এই ধারা লক্ষ করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি। ওই সব কৃতী ছাত্রছাত্রী মুখ ফেরাচ্ছেন কেন? ডিন বলেন, “বড় শহরের সুবিধা না-থাকায় এই আইআইটি থেকে প্রথম সারির পড়ুয়ারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।”
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বের প্রথম ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ঠাঁই পায়নি কোনও আইআইটি-ই। কিন্তু আইআইটি-খড়্গপুরের কর্তৃপক্ষ ২০ বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ২০টি প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ওই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যেতে চান। এই লক্ষ্যমাত্রাকে তাঁরা ‘ভিশন ২০-২০’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সেই জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিকাঠামোর পাশাপাশি পরিচালন পদ্ধতিতেও বদল চান কর্তৃপক্ষ।
এ দিনের আলোচনাসভায় খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন অধিকর্তা দামোদর আচারিয়া বলেন, “যখন দু’হাজার ছাত্রছাত্রী নিয়ে ছোট প্রতিষ্ঠান ছিল, তখন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়ে কিছুটা অপেশাদারি ঢঙে প্রশাসন চালানো যেত। কিন্তু এখন পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে। তাই পরিচালনার কাজে পেশাদারিত্ব দরকার।” কর্তৃপক্ষ জানান, এখন হস্টেল, প্লেসমেন্ট-সহ নানা প্রশাসনিক কাজও করতে হয় শিক্ষকদের। ফলে শিক্ষা-গবেষণায় ফাঁক থেকে যাচ্ছে। তাই ওই সব কাজে দক্ষ ও পেশাদারদের নিয়োগ করা হবে। এই আইআইটি-কে ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে গবেষণা, পেটেন্ট ইত্যাদির কথা জানানো হবে সকলকে। অমিতবাবু জানান, ‘ভিশন ২০-২০’ পূরণ করতে চার হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়া হবে। তিনি বলেন, “নিজেদের মতো করে আস্তে আস্তে আর্থিক ভাণ্ডার গড়া হবে। তা থেকে যে-সুদ আসবে, উন্নয়নের কাজে তা সাহায্য করবে।” সেই জন্য প্রাক্তনীদের কাছ থেকেও সাহায্য চান তাঁরা। |
|
|
|
|
|