|
|
|
|
তরুণী নিগ্রহে ধৃত ১১ জনের জেল, জরিমানা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রকাশ্য রাজপথে তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত ১৬ জনের মধ্যে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল গুয়াহাটির সিজেএম আদালত। বেকসুর খালাস পেলেন সাংবাদিক গৌরব জ্যোতি নেওগ-সহ চারজন। এক অভিযুক্তের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তার মামলাটি জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়। বাকি ১০ জনের জেল ও জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আজ সিজেএম আদালতের রায়ে মুক্তি পেলেন গৌরবজ্যোতি। চাকরিও ফিরে পান তিনি। এ ছাড়া দিগন্ত বসুমাতারি, জিতুমণি ডেকা ও হাফিজুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধেও কোনও প্রমাণ না মেলায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। অন্য দিকে, প্রধান অভিযুক্ত অমরজ্যোতি কলিতা-সহ বাকি ১০ জনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ছ’ মাস সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা, ৩৪১ ধারায় এক বছর জেল ও ৫০০ টাকা জরিমানা, ৩২৩ ধারায় এক বছর জেল ও ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ৩৫৪ ধারায় দুই বছরের জেল ও ২০০০ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। শাস্তিগুলি একই সঙ্গে চলবে বলে বিচারক জানিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবিরা জানান, তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।
এ বছরের ৯ জুলাইয়ের ওই শ্লীলতাহানির ঘটনা গুয়াহাটি-সহ দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। জনাকয়েক তরুণ-তরুণী ৯ জুলাই সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে খ্রিস্টান বস্তি এলাকার একটি পাবে যায়। নিগৃহীতা মেয়েটির বক্তব্য অনুযায়ী, নীচে মদের দোকানের সামনে দাঁড়ানো কিছু ছেলে তাঁদের ছবি ও ভিডিও তুলতে থাকে। প্রতিবাদ জানানোয় জনা কুড়ি ২০ মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। বাকি বন্ধুরা পালালেও ওই তরুণীকে ঘিরে ফেলে যুবকের দল। রাত ৯টা থেকে ১০টা অবধি, জি এস রোডে পথচারী, দোকানদার, সংবাদমাধ্যমের সামনে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করে দলটি। কেবল তাই নয়, মেয়েটির সারা গায়ে সিগারেটের ছেঁকাও দেওয়া হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
সংবাদমাধ্যমের চাপে নড়ে বসে পুলিশ। দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা গুয়াহাটি এসে মেয়েটির সাক্ষ্য নেন। সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। |
|
|
|
|
|