|
|
|
|
কমল নাথ পারবেন, ভরসা ছিল নেত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দু’দিন আগের ঘটনা। লোকসভায় ভোটাভুটি সবে শেষ হয়েছে। দলের এক নেতা প্রশ্ন করেন সনিয়া গাঁধীকে, “ম্যাডাম, রাজ্যসভায় কী হবে?” সনিয়া বলেছিলেন, “চিন্তার কারণ নেই, আশা করি কমল নাথ পারবে।”
সত্যি প্রমাণিত হল সনিয়ার কথাটাই। সংসদে কংগ্রেসের কিস্তি মাতের নেপথ্যে আজ উজ্জ্বল হয়ে উঠল একটাই মুখ। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমল নাথ। মায়া-মুলায়মের সাহায্যে দুই সভায় সরকারের জয় নিশ্চিত করার গোটা কৃতিত্ব তাঁকেই দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। বিরোধীরাও বিঁধছেন তাঁকেই। তাঁদেরও বক্তব্য, এফডিআইয়ের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী যতই যুক্তি পেশ করুন, উত্তরপ্রদেশের দুই কট্টর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিজেদের প্রয়োজন মতো কাজে লাগিয়ে আসল কাজটা করেছেন কমল নাথই। রাজ্যসভায় এফডিআইয়ের বিরুদ্ধে মূল প্রস্তাবটি এনেছিলেন এডিএমকে নেতা ভি মৈত্রেয়ণ। বেশির ভাগ দল ও বক্তা যে এফডিআইয়ের বিরুদ্ধেই বলেছেন সে দিকে নজর টানতে তাঁর কটাক্ষ, “এফডিআই ভোটাভুটিতে বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা হেরে গিয়েছেন, জিতেছেন কমল নাথ।”
পুরো হাতা সাফারি স্যুটেই পরিচিত। ৬৬ বছর বয়সী এই নেতার কলেজ-পর্ব কলকাতায় কাটলেও জন্ম মেরঠে। দুন স্কুলে থাকতেই সঞ্জয় গাঁধীর সঙ্গে সখ্য। পরে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে বাণিজ্যে স্নাতক হয়ে ব্যবসা শুরু ও রাজনীতিতে নেমে পড়া। মাঝে ১৯৯৮-এ এক বার মাত্র হারের স্বাদ পেলেও ১৯৮০ থেকে আট বার লোকসভায় এসেছেন মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে। সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক সাম্রাজ্য। দুধ সাদা প্রাসাদ। ‘কমল কাইট’ নামে নিজস্ব বিমান ও চপার। দেশে-বিদেশে বিশাল ব্যবসা। এবং সর্বোপরি প্রণব মুখোপাধ্যায় রাইসিনা হিলে যাওয়ার পর থেকে কংগ্রেসের ‘মাস্টার ম্যানেজার’। সেই ওস্তাদের মায়াবী চালে কাত হয়ে ফুঁসছে বিজেপি-ও।
নিজেই জানিয়েছিলেন, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হতে আগ্রহী ছিলেন না গোড়ায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কঠিন পরিস্থিতির কথা বলায় বলেছিলেন, “ঠিক আছে, ম্যানেজ করে নেব।” সেটাই করে দেখালেন কমল নাথ।
|
একজোট তৃণমূল ও জে ডি ইউ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এক সপ্তাহ পরে বৈঠকে বসবেন নীতীশ কুমার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে আজ খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির প্রশ্নে জোট বাঁধলেন তৃণমূল ও জেডিইউ সাংসদরা। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা রাজ্যসভায় দশ বছর আগের রাজস্বসচিব এন কে সিংহের একটি রিপোর্টের উল্লেখ করেন। একটি অংশে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির ইতিবাচক দিকগুলি বলা রয়েছে। সিংহ এখন জেডিইউ-এর রাজ্যসভার সাংসদ। শর্মার বক্তৃতার মধ্যেই তিনি এবং তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়ান প্রতিবাদ শুরু করেন। ডেরেকের বক্তব্য, তাঁর কাছে ওই পুরনো রিপোর্টটি আছে। শর্মা তার অংশবিশেষ উদ্ধৃত করেছেন। |
|
|
|
|
|