সনিয়া গাঁধী-নরেন্দ্র মোদী তরজায় জমে উঠল গুজরাতে ভোট প্রচার। এক দিকে সনিয়াকে গুজরাতে নিজেদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে চ্যালেঞ্জ জানালেন মোদী। সনিয়ার বক্তব্য, মোদী সরকারকে অনেক টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তা নিয়ে গুজরাত সরকার কী করেছে তা কারও জানা নেই।
গত কাল রাতে বডোডরার মকরপুরে এক বিরাট জনসভায় বক্তৃতা দেন মোদী। কংগ্রেস নেতা শঙ্করসিন বাঘেলা সম্প্রতি জানিয়েছেন, গুজরাতে কংগ্রেসের তিনিই ‘ক্যাপ্টেন’। মোদীর বক্তব্য, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে তা সনিয়ার স্পষ্ট ভাবে বলা উচিত। কারণ, এক নেতা ইতিমধ্যেই নিজেকে দলের প্রধান হিসেবে জাহির করতে শুরু করেছেন। নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে সম্প্রতি বড় গোলমাল হয়েছে গুজরাত কংগ্রেসে। কংগ্রেস ছেড়ে সমর্থকদের নিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী নরহরি আমিন। রাজনীতির কারবারিদের মতে, গুজরাতে তুলে ধরার মতো মুখেরও অভাব রয়েছে কংগ্রেসে। সেই পরিস্থিতিতে মোদী কংগ্রেসের ঘরোয়া ঝগড়াই আবার উস্কে দিতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। |
ব্যঙ্গের সুরে মোদী বলেন,“সনিয়া গুজরাত সফরের আগে খুব চাপে ছিলেন। কারণ, বক্তৃতায় ভুল হলে সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে।” সনিয়া ও প্রধানমন্ত্রীকে মোদীর পরামর্শ, “গুজরাতে আসার আগে হোমওয়ার্ক করে আসুন।”
২০০৭-এ গুজরাত ভোটের আগে দক্ষিণ গুজরাতে প্রচারের সময়ে মোদীকে ‘মত কা সওদাগর’ বলেছিলেন সনিয়া। ফলে, আবেগের রাজনীতি করার সুযোগ পেয়ে যান মোদী। তুলনায় আজ ওই অঞ্চলেই প্রচারের সময়ে সংযত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। দক্ষিণ গুজরাতের আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকায় কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত। ওই এলাকার মাণ্ডবীতে সনিয়ার সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই।
সনিয়ার দাবি, মোদীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ফাঁপা। কারণ, কৃষক ও গরিব মানুষের কোনও উন্নতি হয়নি। মাণ্ডবীর মতো এলাকায় এলেই তা বোঝা যায়। ইউপিএ সরকার গুজরাত-সহ নানা রাজ্যকে হাজার হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। কিন্তু, সে টাকা নিয়ে গুজরাত সরকার কী করছে তা কেউ জানে না। নাম না করেই মোদীকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেত্রী।
সনিয়ার কথায়, “মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী-সর্দার পটেলের স্মৃতিবিজড়িত গুজরাত। কিন্তু, এখন সেখানে এমন মানুষ রয়েছেন যাঁরা বড় বড় পরামর্শ দেন, কিন্তু তা অনুসরণ করেন না।” |